আগের দিন ইংলিশদের পক্ষে মঈন আলী সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের ইনিংস সম্পর্কে বলেছিলেন ওটাই তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন ইনিংস ছিল! একদিন পর বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। তিনি ৭৮ রান করে চা বিরতির কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যান ইংলিশ স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির বলে।
এদিন শুক্রবার মঈন আলীর মতো একই কথা বললেন তামিম ইকবাল, ‘আমার প্রতিটি রান, আমাকে খুব কষ্ট করে করতে হয়েছে। যদি ভুল করে আউট হতাম তাহলে কষ্ট লাগত। আমার কাছে মনে হয় আমি যেভাবে খেলছিলাম সেখানে আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল।’
সেঞ্চুরি মিস হওয়াতে কিছুটা আফসোস থাকলেও হতাশ নন তামিম। তবে ভব্যিষতে এমন সুযোগ কাজে লাগাবেন বলে জানান তিনি, ‘ওটা (সেঞ্চুরি) হয়নি এ কারণে বেশি একটা চিন্তিত না। তবে চেষ্টা করবো এরকম পরিস্থিতি আসলে যাতে বেশি রান করা সম্ভব হয়। সামনের ম্যাচে ১-২-৩-৪ থেকে শুরু করতে হবে। তবে আজকে ইনিংস বড় হলে অবশ্যই খুশি হতাম। কিন্তু এই মুহূর্তে এটাকেই সেরা মানছি।’
নিজের ইনিংস নিয়ে তামিম ইকবাল আরও বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমি ক্রিজে গিয়ে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করিনি। মূল জায়গায় থাকার চেষ্টা করেছি। যতটুকু সোজা ব্যাটে খেলা সম্ভব ততটুকু খেলেছি। আমি যে বলে আউট হয়েছি সেটাও কোনও ভুল শট খেলে আউট হইনি। ওই শটেই এক রান কিংবা দুই রান করে রান পেয়েছি।’
রিয়াদের সঙ্গে লাঞ্চের পর কিছুটা দ্রুত রান তুলছিলেন তামিম। টেস্ট ক্রিকেটে মাঝে মাঝে এভাবে রান হয়ে যায় ব্যাখ্যা করে তামিম বলেছেন, ‘টেস্ট ম্যাচে কিছু পরিস্থিতি আসে কখানো রান হচ্ছে, অনেক সময় রানই হচ্ছে না। আবার অনেক সময় টুকটাক রান হচ্ছে। হয়তোবা ওই সময়টায় রান তুলতে পারছিলাম। আমরা কিছু লুজ বল পেয়ে সেগুলোর দারুণ ব্যবহার করতে পেরেছি। আবার শেষ দিকে আমরা রানই তুলতে পারিনি। এটাই টেস্ট ম্যাচ। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই মুহূর্তে ওটাই হয়েছে।’
/আরআই/এফআইআর/