X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

হারের পরও উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট মুশফিক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:৩১আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:৩৭

হারের পরও উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট মুশফিক চট্টগ্রাম টেস্টে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের উইকেটে গিয়ে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। তারপরও এমন উইকেটে খেলে সন্তুষ্ট মুশফিক। শুধু সন্তুষ্টই নন তিনি, ভবিষ্যতে এই ধরনের উইকেটে টেস্ট খেলতে আগ্রহী তার দল। দুই ইনিংস মিলিয়ে কোনও দলই ৩০০ ছাড়ানো রান সংগ্রহ করতে পারেনি।

টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী চট্টগ্রামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু  স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়েছিলেন। এমন উইকেটে খেলতে পেরে খুশিই মুশফিক, ‘বাবু ভাই অসাধারণ এক উইকেট বানিয়েছেন। আমি যত টেস্ট ম্যাচ খেলেছি, আমার মনে হয় এই প্রথম কোনও কিউরেটরের কাছ থেকে এমন উইকেট পেলাম। যেভাবে আমরা চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবেই আমরা পেয়েছি। আমাদের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন উইকেটে খেলতে না পারার আফসোস মুশফিকের কন্ঠে, ‘আমরা যদি এমন উইকেটে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারতাম, তাহলে হয়তো প্রস্তুতিটা ভিন্ন হতো। এটার হয়তো সুযোগ ছিল না। তারপরও বলবো সব মিলিয়ে আমাদের জন্য ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। আমরা ২০ উইকেট নিয়েছি, এটা খুব ভালো দিক।’

দিন যত গড়িয়েছে চট্টগ্রামের উইকেটে ততই ভাঙন ধরেছে। এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংস থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করেছে, ‘প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছি, এই উইকেটে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়। আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে।’

চট্টগ্রাম টেস্টে ঠান্ডা মাথায় মুশফিক ৪৮ ও ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। বিশেষকরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ রান খেলার পথে খেলেছেন ‍নিখুঁত এক ইনিংস। এমন ইনিংস খেলতে পেরে মুশফিকও খুব খুশি, ‘আরও কিছুক্ষণ আমি উইকেটে থাকতে পারলে দল জেতার পথেই থাকতো। এমন ইনিংস খেললে স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগে। হয়তো মাইলফলক কিছু না, নিজের জন্য ভালো লাগে, অন্তত দলের জন্য আমার যা করার তার চেষ্টা করতে পেরেছি।’

চট্টগ্রাম টেস্ট চলাকালে দুই দলের প্রত্যেকেই সংবাদ সম্মেলনে বলে গেছেন-এই উইকেটে ব্যাটিং করা খুব কঠিন কাজ। মুশফিকও ম্যাচের শেষ দিনে এসে একই কথা শোনালেন, ‘এই উইকেটে প্রত্যেকটা বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কেউ যদি ৭০, ৮০ বা ১০০ করে, তারপরও বলা যাবে না সে সেট ব্যাটসম্যান। যত ভালো ব্যাটসম্যান হোক না কেন, তবু না। হয়তো একটা বল উঁচু হবে, না হয় নিচু হবে। ফুলটস বা হাফভলি না পেলে বাউন্ডারি বা স্কোরিং শট খেলা কঠিন।’

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সাবধানী ব্যাটিং করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করেছি। যে বলে টার্ন হচ্ছিল আমরা চেষ্টা করেছি যেন বলের লাইনে গিয়ে খেলতে পারি। অনেক সময় দেখা গেছে আমরা এই ধরনের বল খেলতে গিয়ে পায়ে লেগে আউট হয়ে যাই। আমরা চেষ্টা করেছি যেন পা ব্যবহার করে খেলতে পারি, সামনে গিয়ে বা পিছিয়ে গিয়ে যেন খেলতে পারি। সুইপ শটগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ এই উইকেটে। আমরা চেষ্টা করেছি এই সব মিলিয়ে খেলার। হয়তো কিছু পেরেছি, কিছু ভুল হয়েছে।’

/আরআই/কেআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ওরসে ঝগড়া, সেই শত্রুতায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
ওরসে ঝগড়া, সেই শত্রুতায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত সহায়তার আহ্বান
ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত সহায়তার আহ্বান
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা