আনন্দ-উচ্ছ্বাসের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল ব্রাজিলিয়ানরা। দেশের ক্লাব ফুটবল দল শাপেকোয়েনসে কলম্বিয়া থেকে কোপা সুদামেরিকানা ফাইনালের প্রথম লেগ জিতে ঘরে ফিরবে, আর সবাই উৎসব করবে এমনটাই তো পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু এক ঝটকায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল। কলম্বিয়ার আকাশে বিধ্বস্ত হলো শাপেকোয়েনসের ফুটবলারসহ ৮১ জনকে বহন করা বিমানটি, ঝরে গেল ৭৬ জনের প্রাণ। মৃত্যুর মিছিলে যার অধিকাংশই ক্লাবের খেলোয়াড় ও স্টাফরা। ব্রাজিল তো বটেই, পুরো বিশ্ব শোকে কাতর। এমনকি সুদামেরিকানায় শাপেকোয়েনসের প্রতিপক্ষ অ্যাতলেতিকো ন্যাসিওনাল এই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছে। মেডেলিন যাওয়ার পথে খেলোয়াড় ও স্টাফদের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন তারা। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ন্যাসিওনাল মহাদেশীয় শীর্ষ ফুটবল সংস্থা কনমেবল এর কাছে দাবি করেছে- ২০১৬ সালের সুদামেরিকানার চ্যাম্পিয়ন করা হোক শাপেকোয়েনসেকে।
শাপেকোয়েনসেকে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে কলম্বিয়ান ক্লাবের চাওয়া- বিজয়ীর প্রাইজমানিগুলো নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হোক। জানা গেছে, ম্যাচের পূর্বনির্ধারিত দিনে সমর্থকরা সাদা পোশাক পরে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
ন্যাসিওনাল এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই ব্যথা আমাদের হৃদয়কে গ্রাস করেছে এবং শোকে আচ্ছন্ন করেছে। এই ধরনের খবর আমরা শুনতে চাইনি, খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ তারা আরও বলে, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রেক্ষিত থেকে আমরা কোপা সুদামেরিকানা কাপটি শাপেকোয়েনসেকে হস্তান্তর করতে কনমেবলকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমাদের কাছে শাপেকোয়েনসে ২০১৬ সালের কোপা সুদামেরিকানা চ্যাম্পিয়ন, সারাজীবনের জন্য।’
ক্লাবের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে যোগ দিয়েছে খেলোয়াড়রা। ন্যাসিওনালের স্ট্রাইকার এজিকুয়েল রেসকালদানি বলেন, ‘এই কষ্ট, এই ব্যথা অনেক বিশাল। বিষয়টা কনমেবলের হাতে জানি, এর শেষ কোথায় জানা নেই। কিন্তু শাপেকোয়েনসেকে চ্যাম্পিয়ন করতে ন্যাসিওনালের ধারণা খুব ভালো মনে করি এবং আমরা সবাই এই ব্যাপারে একমত।’ ডিফেন্ডার গিলবার্তো গার্সিয়া বলেন, ‘আমরা চাই শাপেকোয়েনসেকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হোক। এটা আমাদের ও বিশ্ব ফুটবলের দাবি। আশা করি কনমেবল এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’
/এফএইচএম/