বিপিএলের ফাইনালে রাজশাহী কিংসকে ১৬০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। টসে জিতে বল করতে নেমে ঢাকাকে বারবার বিপদে ফেলার চেষ্টায় ছিল রাজশাহী। কিন্তু শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের ঢাকা শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৯ রান করে।
খেলতে নেমে ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদ সিক্ত ইনিংস দিয়েই দলের পথচলার সূচনা করেন মেহেদী মারুফ। কেসরিক উইলিয়ামসের শর্ট পিচ বল স্টিয়ার করে স্লিপে দাঁড়ানো ড্যারেন স্যামির হাতে ধরা পড়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। তখন তার রান ছিল ৫। এর পরের ওভারে ফরহাদ রেজার বল পুল করে তিনি বল আকাশে তুলে দিলেও তা পড়ে তিন ফিল্ডারের মাঝখানে। তবে দুইবার বেঁচে গিয়েও বেশিদূর এগোতে পারেননি মারুফ। মেহেদী হাসান মিরাজের করা দ্বিতীয় বলটিতে তেড়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে কেসরিক উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন মারুফ। ১০ বলে আট রান ছিল তার সংগ্রহ।
এরপর নাসির হোসেন বিদায় নেন টিনএজ স্পিনার আফিফ হোসেনের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে। ক্রিজ ছেড়ে আগেই বেরিয়ে এসেছিলেন নাসির। আফিফ শর্ট বল দিয়েছিলেন। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান যখন উইকেট ভেঙে দেন, পাঁচ রান করা নাসির তখন দাঁড়ানো ক্রিজের কয়েক ফুট বাইরে।
এরপর মিরাজকে চমৎকার এক স্কয়ার ড্রাইভে চার মারা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও বিদায় নেন পাঁচ রান করে। ড্যারেন স্যামির করা প্রথম বলটি ছিল ইয়র্কার লেংথের, লাইন মিস করে লেগ স্টাম্পের ওপর লেগ বিফোর হন সৈকত।
ওপেনার এভিন লুইস নবম ওভারে ড্যারেন স্যামিকে দুটি চার মারার পর অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। পরের ওভারে ফরহাদ রেজার লেগ স্টাম্পের ওপর পড়া বল শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা সত্ত্বেও খেলে বসেন। বলটি ফাইন লেগে কেসরিক উইলিয়ামসের হাতে জমা পড়ে। তাতেই শেষ হয় তার ৩১ বলে আটটি চারে করা ৪৫ রানের ইনিংষ।
এরপরই ডোয়াইন ব্রাভো এসে জুটি বাঁধেন কুমার সাঙ্গকারার সঙ্গে। ১০ বলে ১৩ রান করে তিনি হয়ে উঠছিলেন রাজশাহীর হুমকি। তবে সাঙ্গাকারার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি রানআউট হন । এই উইকেটের পতনের পর উইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের বিগ হিটের সুবিধাও নিতে পারেনি ঢাকা। কারণ সামিত প্যাটেলের বল লং অফে ড্রাইভ করে তালুবন্দী হন রাসেল। যদিও সীমানার দড়ির সামনে বল ধরে তা উপরে ছুড়ে মেরে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন ক্যাচ ধরা ফরহাদ। ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরত এসে আবার বল নেন হাতের মুঠোয়। এমন ক্যাচে আট রানে সাজঘরের পথ ধরেন রাসেল।
দলের ব্যাটিং গভীরতা বোঝাতে আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু ছয় বলে ১২ রান করে ফরহাদ রেজার ইয়র্কারে হন বোল্ড।
এক প্রান্তে উইকেটের পতন নিয়মিত ঘটনা হলেও অন্যপ্রান্তে সাঙ্গাকারা ছিলেন অবিচল। দুই বল বাকি থাকতে তিনি আউট হন। ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন। যেখানে ছিল দুটি চার ও একটি ছক্কা। তার এই ইনিংসেই লড়ার মতো সংগ্রহ পায় ঢাকা।
/আরএম/এফআইআর/