আবেগের স্রোত আর প্রাপ্তির আনন্দ মিলেমিশে হয়েছিল একাকার। এমন মুহূর্তে আসলে নিজেকে সামলে রাখা কঠিন। লিওনেল মেসিও পারেননি। তাই নিজের অনুভূতি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড প্রকাশ করলেন পাগলাটে উদযাপনে।
এভাবে উদযাপন করতে কখনও দেখা যায়নি মেসিকে। বাধভাঙা খুশিতে ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন স্মরণীয় মুহূর্তটা। সের্হিয়ো রবার্তোর পায়ের ছোঁয়ায় বল জালে জড়াতেই গোললাইনের পেছন দিকে মেসি দিলেন ভোঁ দৌড়। এরপর ভক্তদের সঙ্গে মেতে উঠেন উৎসবে।
ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে রবার্তোর গোলেই বার্সেলোনার কোয়ার্টার ফাইনাল হয় নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়াটা যখন নিশ্চিত, ঠিক সেই মুহূর্তে নেইমারের পাস বক্সের ভেতর থেকে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জালে জড়ালে নতুন জীবন পায় কাতালান ক্লাবটি। যে মুহূর্তে একসঙ্গে চিৎকার করে উঠে গোটা ন্যু ক্যাম্প। গ্যালারিতে সমুদ্রের গর্জন, আর মাঠে খেলোয়াড়দের উৎসব। সতীর্থদের ওই উৎসবে যাননি মেসি, বল জালে জড়াতেই তিনি দৌড় দিলেন পিএসজির গোললাইনের পেছন দিকে। এক লাফে উঠলেন বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডের ওপর। তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া জটলার ওপর দাঁড়িয়ে বারবার দুহাত মুঠো করে ছুড়লেন শূন্যে। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বোঝানোর সেই মুহূর্ত চলল খানিকক্ষণ। এরপর বিলবোর্ড থেকে নামতেই গ্যালারি থেকে বেরিয়ে আসা এক সমর্থক জড়িয়ে ধরলেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরকে। মেসিও তাকে জড়িয়ে ধরলেন, পরে নিরাপত্তাকর্মীরা সরিয়ে নিয়ে যায় ওই ভক্তকে।
মেসির পাগলাটে উদযাপনের এখানেই শেষ নয়, ভক্তের আলিঙ্গন শেষ করে আবারও কয়েকবার মুঠো শক্ত করে প্রকাশ করলেন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব। এরপর দৌড়ে খুঁজে নিলেন নেইমারকে, যার অসাধারণ পারফরম্যান্সে একটু আগে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বার্সেলোনা। লাফিয়ে উঠলেন ব্রাজিলিয়ান তারকার কোলে। সেখানেও মুঠো শক্ত করে ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন অবিস্মরণীয় মুহূর্তটি।
ফিরে আসার এমন মুহূর্ত ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতিহাসে যে আসেনি আগে কখনও। মেসির উদযাপন তো অমন হবেই! মার্কা
/কেআর/