ডাম্বুলাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ কলম্বোতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। চলতে থাকা এ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কান বোর্ড একাদশ।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৪ রান করেছে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন সানদান বিরাকোডি। তিনি ৫৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করেন।
৪০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ২৬৯ রান। বাকি দশ ওভারে তারা সংগ্রহ করে আরও ৮৫ রান। সানদান ছাড়া আরও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৫২, কুশল পেরেরা ৬৪ ও থিসারা পেরেরা ৪১ রান করেছেন।
সপ্তম ওভারে বাংলাদেশ দিলশান মুনাবিরাকে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করে। শুরুতে উইকেট তুলে নিয়েও বোর্ড একাদশের রানের চাকা আটকে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মাশরাফি তার আট বোলারদের ব্যবহার করেছেন এইদিন।
ইনজুরি থেকে ফেরা মাশরাফি বল হাতে শুরু করেন। যদিও প্রথম স্পেলে বেশ খরুচে ছিলেন সীমিত ওভারের অধিনায়ক। সবমিলিয়ে বোলারদের পারফরম্যান্সটা খুব একটা আশা দেখায়নি। অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে গা ছাড়া ভাব চলেই আসে খেলোয়াড়দের মধ্যে।
তাসকিনের ফুলার লেন্থ বল অন সাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে বল মিস করেন দিলশান মুনাবিরা। ডানহাতি এ পেসার এলবিডব্লিউর আবেদন করলে তাতে সাড়া দেন আম্পায়াররা। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন মুনাবিরা।
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় শিকার সাইফউদ্দিনের। ৬৭ রান করা সানদানকে রুবেলের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পথ দেখান এই পেসার। যদিও লঙ্কান বোর্ড একাদশের দ্বিতীয় উইকেট যেতে পারত ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বলেই। কিন্তু আবুল হাসানের বলে ডিপ এক্সটা কভারের উপরে ক্যাচ দেন সানদান। কিন্তু সহজ ক্যাচ সাউফউদ্দিন তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হলে ৫৮ রানে জীবন পান সানদান।
সানজামুলের পঞ্চম বলটিতে অধিনায়ক মিলিন্দা সিরিবর্ধনে ছক্কা মারেন লং অন দিয়ে। কিন্তু পরের বলটি সিরিবর্ধনে উইকেটের পেছনে দেন। ৩১তম ওভারের শেষ বলটি হালকা ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেট কিপার নুরুল হাসানের গ্লাভসে।
২৯ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন সিরিবর্ধনে। তার আগে অবশ্য স্বেচ্ছায় সাজঘরে ফিরেছেন কুশল পেরেরা ৭৮ বলে ৬৪ রান করে।
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। আবুল হাসানের শর্ট বলটি পুল করতে গিয়ে আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করেন।
প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আসা আবুল হাসান প্রথম স্পেলে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেট পাননি। ৩ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছিলেন ১৪। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে সাফল্য এনে দেন দলকে। দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে ডানহাতি এ পেসারের বলে বোল্ড হন ডি সিলভা। শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল স্টাম্পে আঘাত করে।
এদিকে সানজামুল উড়ন্ত ক্যাচে মাশরাফিকে উইকেট এনে দেন। মাশরাফির তৃতীয় স্পেলের প্রথম ওভার। অফ স্টাম্পের বাইরে মাশরাফির ফুলার লেন্থ বল। পুরো জোর দিয়ে মিড অফ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন থিসারা পেরেরা। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকমত সংযোগ হল না। বল উঠে গেল ডিপ কভারে। কভারে দাঁড়ানো সানজামুল দৌড়ে পেছনে গিয়ে দিলেন বিশাল এক ড্রাইভ। তাতেই ৪১ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় থিসারাকে।
বাংলাদেশর বোলারদের মধ্যে তাসিকন, সানজামুল, মাশরাফি, সাইফউদ্দিন ও আবুল হাসান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান। বাকি দুটি উইকেটের একটি রান আউট এবং অন্য আউট স্বেচ্ছায় নেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
/আরআই/এফএইচএম/