অবশেষে কাটল মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপনের জটিলতা। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে ১০ কোট টাকার ফ্লাডলাইট স্থাপনের প্রকল্পটি।
অচিরেই আহ্বান করা হবে দরপত্র। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের প্রত্যাশা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ, আর অক্টোবরে সূচি অনুযায়ী তারা আয়োজন করতে পারবে আট জাতি এশিয়া কাপের আসর।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশেনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ চোখেমুখে স্বস্তির রেখা, ‘আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই আহ্বান করা হবে দরপত্র, কাজ শেষ করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সে হিসেবে দরপত্র নেওয়া ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার জন্য জুন পর্যন্ত সময় লাগলে জুলাই-আগস্ট নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে। আমরা চাইব দ্রুত শেষ হোক কাজ, যাতে নির্বিঘ্নে আায়োজন করতে পারি এশিয়া কাপ।’
হকি স্টেডিয়ামের চার কোণায় চারটি টাওয়ারে বসবে লাইটগুলো। মাঠের মাঝখানে লাক্সের মাত্রা হবে ১২৫০। হকি ফেডারেশন শুধু ফ্লাডলাইট স্থাপন করেই বসে থাকতে চায় না। এবারের হকি ওয়ার্ল্ড লিগ রাউন্ড-২ আয়োজনের সময় দেখা গেছে বেশ কিছু ঘাটতি। বিশেষকরে মূল টার্ফের পাশে একটি অনুশীলন টার্ফের প্রয়োজনীয়তা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে টার্ফ যেখানে আছে, সেটিকে আরও পশ্চিমে সরিয়ে এনে পূর্ব দিকে অনুশীলন টার্ফ স্থাপন করা সম্ভব। ফেডারেশন এটি ছাড়াও ভিআইপি গ্যালারি ও প্রেস বক্সের উন্নয়নও করতে চায়। তা ছাড়া মাঠের পাশে খেলেয়াড়দের বসার স্থান ও ড্রেসিং রুমের সংস্কারও প্রয়োজন, কারণ এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের ক্ষেত্রে অনেক কিছুতেই ছাড় দেবে না এশিয়ান হকি ও আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন।
/আরএম/কেআর/