মাশরাফি মুর্তজার চমকপ্রদ ঘোষণার পর সাকিব আল হাসানই যে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। শনিবার সেই গুঞ্জন সত্যি প্রমাণিত হলো, বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা করলেন। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বললেন, মাশরাফির উত্তরসূরি হিসেবে সাকিবই সঠিক পছন্দ।
আগামী জুলাইয়ে পাকিস্তান আসতে পারে বাংলাদেশ সফরে। পাকিস্তান এলে টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা আগেও ছিল তার। তবে সেই অভিজ্ঞতা একদমই তিক্ত। ২০০৯ ও ২০১০ সালে সাকিবের নেতৃত্বে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলে সবগুলোতে হার মেনেছিল বাংলাদেশ। ৭ বছর পর ২০ ওভারের ক্রিকেটে টাইগারদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বিসিবির সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা নিয়ে পুরোপুরি নিঃসন্দেহ আশরাফুল। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান দলে যারা আছে, তাদের মধ্যে সাকিবই সেরা। মাশরাফির অবসর ঘোষণার পরই বোঝা যাচ্ছিল যে সাকিব টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হবে। তার বিকল্প বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখনও আসেনি।’
টি-টোয়েন্টিতে মাত্র চারটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। ওয়ানডেতে ৪৯ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ২৩টিতে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। টেস্টে অবশ্য তেমন সাফল্য পাননি, ৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন মাত্র একটি।
তবে এসব পরিসংখ্যানকে একদমই পাত্তা দিচ্ছেন না আশরাফুল। টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির ডেপুটি হিসেবে কাজ করা সাকিবকে নিয়ে তার বিশ্লেষণ, ‘আমার মতে সাকিব টি-টোয়েন্টিতে বেশি কার্যকর। পরিস্থিতি বিবেচনায় তিন সংস্করণে তিনজন অধিনায়কের চাহিদা রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে তিন ফরম্যাটে একজনই অধিনায়ক। আর তা হলে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে সাকিব। আমার ধারণা, কিছুদিনের মধ্যে সাকিব তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক হবে।’
/আরআই/এএআর/
আরও পড়ুন: