বার্সেলোনার সঙ্গে আগুনে-বারুদে লড়াইয়ে হারের দুঃখ কি ভুলতে পেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ? গত রবিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাতালানদের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা। তিনদিন পর দেপোর্তিভো লা করুনার মাঠে ৬-২ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। এত তাড়াতাড়ি হয়তো মেসির সেই উদযাপনের কথা ভুলতে পারবে না রিয়াল। কিন্তু লা রিয়াজোতে বড় ব্যবধানের জয়ে কিছুটা হলেও দুঃখটা ঘুচেছে।
গত বুধবার জিদানে পুরো নতুন করে সাজিয়েছিলেন দলকে। ক্লাসিকোয় খেলা তারকাদের এদিন বিশ্রামে রেখেছিলেন রিয়াল কোচ। বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলা শুধু মার্সেলো ও নাচো ছিলেন দেপোর্তিভোর বিপক্ষে। গোলপোস্টে নিচে জায়গা পান কিকো ক্যাসিয়া। রক্ষণে ছিলেন দানিলো ও ইনজুরি থেকে ফেরা রাফায়েল ভারানে। মাঝমাঠ ও আক্রমণে সবাই নতুন মুখ। মাঝে মাতেও কোভাচিচ, জেমস রদ্রিগেস ও ইসকো এবং সামনে লুকাস ভাসকেস, আসেনসিও ও মোরাতা।
নতুন এই দল নিয়েই দেপোর্তিভোকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে রিয়াল, যার মূল কারিগর ছিলেন ইসকো। তিনটি গোল বানিয়ে দেওয়ার সঙ্গে একটি নিজেও করেছেন তিনি। এক মিনিটও লাগেনি রিয়ালের গোলমুখ খুলতে। দানিলোর কাছ থেকে বল পান ইসকো, তার পাস থেকে ১-০ করেন মোরাতা। জুভেন্টাসের সাবেক এ তারকা আরও একটি সুযোগ পেলেও দেপোর্তিভোর গোলরক্ষকের কাছে বাধা পান। ইসকো ও আসেনসিওর শট প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। এরকম দুই-তিনটি সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগেস। মার্সেলোর গোলটি অফসাইডে লাইন্সম্যান বাতিল না করলে ৩-০ হতে পারত। কিন্তু আদোনের গোলে দেপোর্তিভো ব্যবধান কমায় ২-১ গোলে। ওই গোলে স্বাগতিকরা জীবন ফিরে পায়। তারা কয়েকবার আক্রমণে যায়। কিন্তু বিরতির এক মিনিট আগে ভাসকেসের গোলে ৩-১ এ রিয়ালকে এগিয়ে দেন।
আর ফিরে তাকাতে হয়নি রিয়ালকে। বিরতির পর রদ্রিগেস নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। স্কোরশিটে আরও নাম লিখেন ইসকো ও কাসেমিরো। ৮৪ মিনিটে জোসেলুর গোল শুধু দেপোর্তিভোকে সান্ত্বনাই দিয়েছে।
এ জয়ে শীর্ষ দল বার্সেলোনার সমান ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। কাতালানদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলায় তাদের শিরোপার আশা এখনও টিকে আছে। সূত্র- মার্কা
/এফএইচএম/