প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ছয় নম্বরে থেকে মৌসুম শেষ করায় চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হয়েছিল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ মঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। একটাই পথ খোলা ছিল তাদের সামনে- ইউরোপা লিগ জেতা।
বুধবার এ লক্ষ্য নিয়ে স্টকহোমে আয়াক্সকে মোকাবিলা করতে নেমেছিল হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে শুরু থেকে দাপট দেখিয়েছে তারা এবং ম্যাচ শেষ করেছে সফলতার সঙ্গে। ২-০ গোলে আয়াক্সকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানইউ। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা।
৯ বছরে প্রথমবার কোনও মহাদেশীয় শিরোপাজয় ম্যানইউর আবেগ ছুঁয়ে যাওয়ার। কারণ ৪৮ ঘণ্টাও হয়নি ম্যানইউ ট্রাজেডির, সোমবার রাতে ম্যানচেস্টার এরেনায় আত্মঘাতী হামলায় ২২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। ওই ঘটনার পর ম্যানচেস্টারবাসীর জন্য হয়তো কিছুটা হলেও আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করল মরিনহোর শিষ্যরা।
ফ্রেন্ডস এরেনায় উদযাপনটা শুরু হয় পল পোগবার গোলে। মাত্র ১৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে আকাশের দিকে তাকালেন ফরাসি তারকা। হয়তো বাবাকে খুঁজছিলেন তিনি। ছেলের এ গোল কি স্বর্গ থেকে দেখছিলেন সপ্তাহখানেক আগে পরলোকে চলে যাওয়া ফাসু আন্তোয়ান! হয়তো বা।
এ গোল আরও উজ্জীবিত করে ম্যানইউকে। বিরতির তৃতীয় মিনিটে দারুণ অ্যাক্রোবেটিক চেষ্টায় দ্বিতীয় গোল করেন হেনরিক মিখিতারিয়ান। ওখানেই আয়াক্সের ফেরার সব সম্ভাবনা শেষ। ম্যানইউর হাতে প্রথম ইউরোপা লিগ শিরোপাও উঠে যায় ৯০ মিনিট শেষে।
/এফএইচএম/