মূল আসর শুরুর আগে সবকিছুই প্রস্তুতির অংশ। মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিও তাই। তবে ওয়ার্ম আপ ম্যাচটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। ১ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে এটাই যে শেষ প্রস্তুতি টাইগারদের! তার আগে সোমবার অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন মাশরাফি-সাকিবরা। ফিল্ড অনুশীলনের সঙ্গে নেটেও বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ব্যাটিংটা হয়েছে দুর্দান্ত। যদিও ৩৪১ রানের বড় স্কোর দাঁড় করিয়েও হারতে হয়েছে ২ উইকেটে। দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচের প্রতিপক্ষ এশিয়ার আরেক পরাশক্তি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় লড়াই গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। তাই ওয়ার্ম আপ হলেও ম্যাচটি জিততে মুখিয়ে থাকবেন মাশরাফিরা। তার প্রস্তুতি হিসেবে ক্রিকেটাররা কঠোর পরিশ্রম করেছেন অনুশীলনে।
লন্ডনে স্ট্রেচিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং অনুশীলনও সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে বোলিংটা ঠিকঠাক হয়নি বলে সোমবার পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আলাদা করে পরীক্ষা নিয়েছেন বোলারদের। ভুল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো শুধরে দিয়েছেন শিষ্যদের। মাশরাফি, মুস্তাফিজ ও তাসকিনকে নিয়েই বেশি সময় কাটিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি। নতুন কিছু কৌশলও সম্ভবত বুনে দিয়েছেন মাশরাফি-তাসকিনদের মনে।
শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংয়েও ঘাম ঝরিয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বেশ খানিকটা সময় নেটে কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে পাশের নেটেই অনুশীলন সেরেছেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। অনুশীলনের পাশাপাশি কিছু পরিকল্পনাও সেরে নিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধিনায়ক মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। সাকিবের সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলেছেন প্রধান কোচ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল লড়াইয়ের আগে ভারতকে হারিয়ে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চাইবে বাংলাদেশ। ওভালে প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।
/কেআর/এএআর/