সপ্তাহ দুয়েক আগেই মাদ্রিদের প্রাণকেন্দ্র সিবেলেস ফোয়ারার সামনে উৎসবে মেতেছিল হাজার হাজার ভক্ত। চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওইদিন ৩৩তম লা লিগা শিরোপা ঘরে এনেছিল রোনালদো-বেনজিমারা। রবিবার আবার উৎসব হলো সেই একই জায়গায়, এবার ইউরোপ জয় করা রিয়ালকে স্পেনে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিল হাজার হাজার ভক্ত। তারা নেচে গেয়ে ‘বীরদের’ অভ্যর্থণা জানাল। এ উৎসবের রেশ সিবেলেস থেকে শুরু হয়ে শেষ হলো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
গান-বাজনা, আতশবাজির খেলা ও নানারকম সাউন্ড ইফেক্টে বার্নাব্যুর পরিবেশটা হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। এ মুহূর্তগুলো প্রাণোচ্ছ্বল করে রেখেছিলেন মূলত ভক্তরা। প্রথমে মাঠে আসেন কোচ জিনেদিন জিদান। এর পর ভক্তদের অভ্যর্থণা পেতে একে একে হাজির হন খেলোয়াড়রা। কানায় কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামে দর্শক-শ্রোতাদের কাছ থেকে এক আবেগঘন সময় উপভোগ করেছেন জিদান ও তার শিষ্যরা।
১২তম ও রেকর্ড টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অনুভূতি সবার আগে ভক্তদের কাছে প্রকাশ করেন সের্হিয়ো রামোস। রিয়ালের অধিনায়ক বলেছেন, ‘শুরু থেকে আমরা বুঝেছিলাম এ মৌসুম ভিন্ন কিছু হতে যাচ্ছে, বিশেষ কিছু। শেষে এসে দেখলাম চমৎকার দ্বিমুকুট জিতেছি আমরা। খুব উপভোগ করছি, কারণ দীর্ঘদিন আমরা এরকমটা দেখিনি।’
জিদানের আনন্দঘন কণ্ঠ শুনতে পেল ভক্তরা। খেলোয়াড়দের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা পাওয়ার পর সবার উদ্দেশ্যে কোচ বলেছেন, ‘আমাদের উপর বিশ্বাস রাখার জন্য ধন্যবাদ।’ এর পর মাইক্রোফোন তুলে দেন রোনালদোর হাতে। উপস্থিত ৮০ হাজার দর্শক সঙ্গে সঙ্গে পর্তুগিজ তারকার জন্য পঞ্চম ব্যালন ডি’অরের দাবি তুলেছেন। এমনটা দেখে খুশি লুকিয়ে রাখতে পারেননি ৩২ বছর বয়সী। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বানালেন গান, ‘রোনালদো, ব্যালন ডি’অর’। গেয়ে গেয়ে প্রচারণা চালালেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য। আর তার সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে গাইলেন ভক্তরাও।
সবশেষে রাতের আকাশকে ঝলমলে করে তুলেছিল আতশবাজির খেলা। খেলোয়াড়রা যে যার ঘরে ফিরলেও আরও ঘণ্টাখানেক চলল রিয়াল ভক্তদের নাচ-গান।
উৎসবের শেষ এখানেই নয়। আগামী আগস্টে দুটি শিরোপার হাতছানি তাদের সামনে। কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার সঙ্গে স্প্যানিশ সুপার কাপের দুই লেগ (১২ ও ১৫ আগস্ট) খেলবে লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। এর আগে ৮ আগস্ট উয়েফা সুপার কাপে ইউরোপা লিগজয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়নরা। সূত্র- ইএসপিএনএফসি, মার্কা, গোল
/এফএইচএম/