আইসিসির কোনও ইভেন্টে এবারই প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার তাদের সামনে ছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। যদিও ভারতের বিপক্ষে হেরে থামে বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের ‘সেরা সাফল্য’ সঙ্গী করে শনিবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। সাফল্যের এই ধারা সচল রাখতে পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপে ভালো করার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। যেখানে তরুণের ওপরও আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মাশরাফির কথোপকথন ‘বাংলা ট্রিবিউন’ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
সেমিফাইনাল খেলার অনুভূতি...
মাশরাফি : ভালো লাগছে। তবে সুযোগ ছিল ফাইনালে যাওয়ার। নকআউট পর্যায়ে খেলায় সবসময় সুযোগ থাকে। কিন্তু আমরা সুযোগটা নিতে পারিনি। আশা করি সামনে আরও অনেক টুর্নামেন্ট আছে, সেগুলোতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো এখন গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি সামনে এমন সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে পারব।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাপ্তিকে দেখছেন যেভাবে...
মাশরাফি : প্রাপ্তিগুলো আপনারা সবাই জানেন। সেমিফাইনাল খেলেছি ওটা অনেক বড় ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে যে গ্রুপ থেকে খেলেছি। কাজটা এতটা সহজ ছিল না। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে জন্য বড় প্রাপ্তি। হয়তো আরও সুযোগ ছিল, কিন্তু সেটা আমরা নিতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে আমাদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে খেলতে হবে।
স্লগ ওভারে ব্যাটিং প্রসঙ্গে...
মাশরাফি : ভারতের বিপক্ষে স্লগ ওভারে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। ইংল্যান্ডের (আসলে হবে অস্ট্রেলিয়া) বিপক্ষে তো স্লগ ওভার পর্যন্ত যাওয়ার কোনও সুযোগই হয়নি।
তরুণদের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে...
মাশরাফি : দেখুন তরুণ ক্রিকেটারদের এই পর্যায়ের ক্রিকেটে পারফরম করাটা এতটা সহজ নয়। তবে এটা বলব, তাদের উন্নতিও করতে হবে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভালো খেলাটা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে তরুণ খেলোয়াড়দেরও ভালো খেলতে হবে। যদিও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। ২০১৯ বিশ্বকাপে এরাই হয়তো অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারবে। আরও দুই বছর পর তারা আরও অভিজ্ঞ হবে। তবে এখন উন্নতির সময়। এখানে তারা যে লেভেলে তাদের খেলার উন্নতি করেছে, এখন উচিত সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। উন্নতির ধারাটা যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে আমার বিশ্বাস ২০১৯ বিশ্বকাপে ওরা ভালো করবে।
ফাইনালে গা ছাড়া ভাব প্রসঙ্গে...
মাশরাফি : এটা অবশ্যই হওয়া উচিত না। স্কোরটা বড় না হওয়াতেই হয়তো আমরা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা কখনও হওয়া উচিত নয়। আমরা যে সংগ্রহ দাঁড় করেছি, সেটা নিয়ে আমাদের লড়াই করা উচিত ছিল। আমাদের এই ধরনের উইকেটে বোলিং করাটা শিখতে হবে। এটা শিখতে পারলে সামনের বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলব।
/আরআই/কেআর/