সামান্য অসতর্কতায় ‘অদ্ভুত’ এক ইনজুরিতে পড়েছিলেন পেসার রুবেল হোসেন। তাতে দুইদিন হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছে। সেখানে বুধবার মিরপুরের ডেলটা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচারের পর বৃহস্পতিবার রুবেলের এক্স-রে করা হয়। ইতিবাচক রিপোর্ট আসায় তাকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরেই হাসপাতাল ছেড়ে মিরপুরের বাসায় ফিরে আসার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন রুবেল হোসেন। আপাতত বাসায় বিশ্রাম নেবেন তিনি। ঈদ করতে বাগেরহাট যাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘ডাক্তার আপাতত আমাকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। কানের ওখানে অল্প ব্যথা রয়েছে। আপাতত মিরপুরের বাসাতেই থাকবো। বাড়ি যাবো কিনা এখনো নিশ্চিত না।’
ব্যথা কমলেও রুবেলের এই ইনজুরি কাটিয়ে ফিরতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে। এ প্রসঙ্গে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলছেন, ‘বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন রুবেল। আঘাত চোখের আরেকটু কাছাকাছি হলে তাকে বড় সমস্যায় পড়তে হতো। সৌভাগ্যক্রমে এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন।’
অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরতে হলে কতটা সময় লাগবে রুবেলের? কথার পরের অংশে সেটাও জানিয়েছেন দেবাশীষ চৌধুরী, ‘খেলায় ফিরতে ৪-৬ সপ্তাহ লেগে যাবে তার। আপাতত থাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। ঈদের পর তার অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে টিম মিটিং করে হোটেলে ফেরার পর রুমের দরজায় ধাক্কা খান বাংলাদেশের এই পেসার। ধাক্কাটা এত জোরেই লাগে যে, তার বাম চোখ আর কানের মাঝখানের হাড়ই সরে গেছে! প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও দেশে ফেরার পর ব্যথা অনুভব করাতে ডাক্তারের কাছে যান। তখনই জানতে পারেন আঘাত কতটা গুরুতর ছিল।
/আরআই/এফআইআর/