লা লিগার নবাগত দল জিরোনাও থামাতে পারেনি বার্সেলোনাকে। শনিবার কাতালান ডার্বিতে ৩-০ গোলে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো এর্নেস্তো ভালভারদের শিষ্যরা। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার লা লিগায় প্রথম ৬ ম্যাচই জিতলো বার্সেলোনা।
১৯৪৯ সালের পর প্রথমবার স্পেনের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জিরোনা ও বার্সেলোনা। ৬৮ বছর আগের ওই স্প্যানিশ কাপের লড়াইয়ে ৯-০ গোলে জিরোনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল বার্সা। এবার কিন্তু এত বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পায়নি জিরোনা। বরং প্রথম সুযোগ তৈরি করে তারা। ১১ মিনিটে গোলমুখে ভালো একটা চেষ্টা নিয়েছিল স্বাগতিক ক্লাবটি। এর দুই মিনিট পর বার্সা গোলরক্ষক মার্ক টার স্টেগেনের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। ডগলাস লুইসের শক্তিশালী শট ডাইভ দিয়ে ঠেকান স্টেগেন, কিন্তু তার হাতে লেগে বল ফিরে এলে আবার লক্ষ্যে শট নেন ওলুঙ্গা। এবারও প্রতিহত করেন বার্সা গোলরক্ষক।
১৫ মিনিটে লুইস সুয়ারেস ও মেসির বোঝাপড়ার অভাবে বার্সা গোলমুখ খুলতে পারেনি। দুই মিনিট পর মেসির ফ্রিকিক স্বাগতিক গোলরক্ষক ইরাইজজ ঠেকিয়ে দিলে কর্নার পায় বার্সা। কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক ভলি করেন জর্দি আলবা, সেটা বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান জিরোনার আদে।
১-০ গোলে বিরতিতে যাওয়া বার্সার ব্যবধান দ্বিগুণ হয় ৪৮ মিনিটে। এবারও আত্মঘাতী গোল। অ্যালেইক্স ভিদালের ব্যাকহিল আটকাতে গিয়ে নিজের জালে ঠেলে দেন ইরাইজজ। অন্যপ্রান্তে বার্সার গোলরক্ষক টার স্টেগেন ৫৪ মিনিটে ওলুঙ্গার হেড ঠেকিয়ে দলের ব্যবধান কমাতে দেননি। জিরোনার ফেরার সব সম্ভাবনা শেষ হয় ৬৯ মিনিটে। সের্হিয়ো রবার্তোর ক্রসে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বার্সার তৃতীয় গোল করেন সুয়ারেস। বার্সেলোনার জার্সিতে শততম লিগ ম্যাচ তিনি স্মরণীয় রাখলেন ওই গোলে।
এ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে থাকলো বার্সা। চার পয়েন্টের ব্যবধানে দুইয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। সেভিয়া ৫ পয়েন্ট পেছনে। আর রিয়াল আগের মতোই ৭ পয়েন্ট পেছনে। ইএসপিএনএফসি