দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে ব্যাটিং করা যে কোনও অতিথি দলের জন্যই কঠিন। বাংলাদেশের মতো ধীরগতির উইকেটে খেলা ব্যাটসম্যানদের জন্য তা আরও কঠিন। তবে যত কঠিনই হোক, প্রোটিয়াদের মাটিতে টাইগারদের যে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন ইমরুল কায়েস।
প্রথম টেস্টের ভেন্যু পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানোর পর প্রথমবারের মতো পুরো দলকে অনুশীলন করাতে পেরেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে ব্যথা পাওয়া সৌম্য সরকারও ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন।
অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে ইমরুল বলেছেন, ‘আমরা এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছি, এখানে একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি ভালো। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে সবার আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বেড়েছে।’
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদমই সুবিধা করতে পারেননি ইমরুল, দুই টেস্টের চার ইনিংসে করেছিলেন ০, ২, ৪ ও ১৫ রান। তবে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৪ ও ৫১ রানের দুটো ভালো ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে তাই ভালো খেলতে আত্মবিশ্বাসী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ‘যে ম্যাচেই হোক, রান করলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। রান করলে নিজেরও ভালো লাগে। আশা করি, প্রথম টেস্টে সুযোগ পেলে বড় ইনিংস খেলতে পারবো।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপেক্ষা করছে। তবে ইমরুল জানালেন, কঠিন হলেও এই চ্যালেঞ্জ নিতে তারা প্রস্তুত, ‘এখানকার উইকেটে বাউন্স থাকবেই। এটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে আমাদের। আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত। আশা করি, ভালো একটা ম্যাচ হবে।’
বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরসূচি
সেপ্টেম্বর ২৮-অক্টোবর ২: প্রথম টেস্ট, পচেফস্ট্রুম
অক্টোবর ৬-১০: দ্বিতীয় টেস্ট, ব্লুমফন্টেইন
অক্টোবর ১২: প্রস্তুতি ম্যাচ, ব্লুমফন্টেইন
অক্টোবর ১৫: প্রথম ওয়ানডে, কিম্বার্লি
অক্টোবর ১৮: দ্বিতীয় ওয়ানডে, পার্ল
অক্টোবর ২২: তৃতীয় ওয়ানডে, ইস্ট লন্ডন
অক্টোবর ২৬: প্রথম টি-টোয়েন্টি, ব্লুমফন্টেইন
অক্টোবর ২৯: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, পচেফস্ট্রুম