তৃতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে দাপট দেখাচ্ছে স্বাগতিকরা। কুইন্টন ডি কক ও তেম্বা বাভুমার ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৯ রান পায় উদ্বোধনী জুটিতেই। দীর্ঘক্ষণ বোলারদের ওপর দাপট দেখাচ্ছিলেন এ দুজন। অবশেষে ১৮তম ওভারে হুমকি হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান আজকের ম্যাচে জায়গা পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন তেম্বা বাভুমা। লং অনে লিটনের হাতে তালুবন্দী হয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
অবশ্য সাজঘরে যাওয়ার আগে করেন ৪৮ রান। ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার। অপরদিকে কুইন্টন ডি কক তুলে নেন ১৫তম হাফসেঞ্চুরি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের দিকেই। কিন্তু ৭৩ রানে কুইন্টন ডি কককে থামিয়ে দেন মিরাজ। নিজের হাতে ক্যাচ নিয়েই সাজঘরে ফেরান তাকে। তার ৬৮ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও একটি ছয়।
তারপরেও প্রোটিয়াদের রানের রাশ টেনে ধরতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। উল্টো তাদের ওপর দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি ও এইডেন মারক্রমা। প্রোটিয়া অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ২৯তম হাফসেঞ্চুরি। আর এই জুটিতে ভর করেই ২৮১ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ততক্ষণে ৯১ রানে ব্যাট করছিলেন অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। কিন্তু রান নিতে গিয়ে ৪১তম ওভারে ইনজুরিতে পড়ে যান তিনি। স্বস্তি পাচ্ছিলেন না বলে তখনই মাঠ ছেড়ে যান। তার জায়গায় মাঠে নামেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এরপরেই রানের প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন অভিষেকে হাফসেঞ্চুরি করা এইডেন মারক্রাম। ৬০ বলে বিদায় নেন ৬৬ রানে। যাতে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়। ৩ উইকেটে ৪১.৩ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২৯১ রান।
এর আগে ইস্ট লন্ডনে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাশরাফির অধিনায়কত্বের ৫০তম ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের।
তৃতীয় ওয়ানডেতে পরিবর্তন আছে দুই দলেই। ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। চোটের কারণে নেই তামিম ইকবাল। বাদ পড়েছেন নাসির হোসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আছেন এইডেন মারক্রাম, তেম্বা বাভুমা ও ওয়াইান মুল্ডার। আজকের ম্যাচেই অভিষেক হচ্ছে মারক্রাম ও মুল্ডারের।