ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর যেন ফুটবলের প্রতিচ্ছবি! বয়সভিত্তিক থেকে জাতীয় দল, সবখানেই কলসিন্দুরের আধিপত্য। এবারের জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কলসিন্দুরের মেয়েদের দাপট ময়মনসিংহ জেলাকে এনে দিয়েছে হ্যাটট্রিক শিরোপার উচ্ছ্বাস। শুক্রবার ফাইনালে ময়মনসিংহ ৩-০ গোলে হারিয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলাকে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। তিন গোলের দুটোই রোজিনা আক্তারের। ১০ ও ১৬ মিনিটে রোজিনার লক্ষ্যভেদের পর ৩৫ মিনিটে শামসুন্নাহারের গোলে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নদের জয়।
ময়মনসিংহ দলটির ১৮ জনের ১৫ জনই কলসিন্দুরের। রোজিনা আর শামসুন্নাহারও এসেছে এই গ্রাম থেকে। জেএসসি পরীক্ষার জন্য দুজনের কেউ সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি, পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসেছে শুক্রবার সকালে। আর বিকালে মাঠে নেমেই দলকে হ্যাটট্রিক শিরোপা উপহার দিয়েছে তারা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যায় কলসিন্দুরের ফুটবলার সাবিনা ইয়াসমিন। ফাইনাল শুরুর আগে সাবিনার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। খেলা শেষেও ছিল অকালপ্রয়াত ফুটবলারের স্মৃতিচারণ। ময়মনসিংহের অধিনায়ক ইয়াসমিন আক্তার বললো, ‘আমরা তো ওর কবরে যেতে পারবো না, তাই সবাই মিলে সাবিনার মায়ের কাছে যাবো, উনার হাতে ট্রফি তুলে দিবো। এই শিরোপা আমরা সাবিনাকে উৎসর্গ করছি।’
চ্যাম্পিয়নদের কোচ সালাউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য, ‘এটা আমার প্রথম শিরোপা। জেএসসি পরীক্ষার জন্য আমাদের সাত জন খেলোয়াড় সেমিফাইনাল সহ দুটি ম্যাচ খেলতে পারেনি। ওই সাত জনের তিনজন আজকে মাঠে নামায় দলের শক্তি বেড়েছে। আজ আমাদের পাঁচ গোলে জেতা উচিত ছিল। খেলোয়াড়রা জার্নি করে আসায় কিছুটা ক্লান্ত ছিল, তাই দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল হয়নি।’
অন্যদিকে প্রথমবার ফাইনালে উঠে রানার্স-আপ হয়েই খুশি ঠাকুরগাঁও দলের কোচ সুগা মুরমু, ‘মেয়েরা প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে নেমেছে, তাই প্রথমার্ধে একটু নার্ভাস ছিল। সেটা দ্বিতীয়ার্ধে কাটিয়ে উঠেছে। আমাদের প্রতিপক্ষ আগে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই রেজাল্টে আমরা খুশি।’