প্রিমিয়ার হকি লিগের দলবদল হওয়ার কথা আগামী ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর। এর পরেই হওয়ার কথা ফেডারেশনের নির্বাচন। এই অবস্থায় ফেডারেশনের নির্বাচনের আগে দলবদলে অনীহা প্রকাশ করেছে একাধিক ক্লাব! এ নিয়ে ফেডারেশনে নিজেদের মধ্যে চাপান-উতোর কম চলছে না। নির্বাচন নাকি অ্যাডহক কমিটি? এ নিয়েই যখন কথা চলছে; ঠিক এই অবস্থায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার হকি ফেডারেশনে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরুর কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির অনুষ্ঠান শেষে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,‘নিয়ম অনুযায়ী আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু হকির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এবং বন্যার কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়েছে। এখন আবার নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করছি। আমরা নির্বাচন করে ফেলবো। ’
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও জানালেন অ্যাডহক কমিটি দিয়ে ফেডারেশন চালানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই, ‘অ্যাডহক কমিটি গঠনের কোনো চিন্তা-ভাবনা আপাতত আমাদের নেই। নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার জন্যই চিন্তা করছি। ইতোমধ্যে আমি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার আদেশ দিয়ে দিয়েছি। যাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া আছে। তারাই পুনঃতফসিল ঘোষণা করবেন।’
শুধু হকি ফেডারেশন নয়, যেসব ফেডারেশনে অ্যাডহক ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেখানেও নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কাবাডি,সাইক্লিং,অ্যাথলেটিক্স,ভারোত্তোলন, টেনিস ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলছে। এছাড়া কুস্তি ও তায়কোয়ান্দোতেও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে। তাই যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর ভাবনায় নতুন কমিটি, ‘ভারোত্তোলনের বিষয়টা আমার মাথায় আছে। এ ফেডারেশন নিয়ে কিছু সমস্যা আছে তা সত্য। এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। এখানেও আমি নির্বাচিত কমিটি নিয়ে আসবো। এমনকি কাবাডিতেও। বেশিরভাগ ফেডারেশনে নির্বাচিত কমিটি আছে। অ্যাডহক কমিটি যেগুলো আছে সেগুলোতে আমি নির্বাচিত কমিটি নিয়ে আসবো। সেটা যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব। ইতোমধ্যে কয়েকটি ফেডারেশনের ফাইলও আমি নিয়েছি।’