X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রিদ ডার্বিতে মুখোমুখি দুই ভাই

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৭আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৪২

মায়ের সঙ্গে লুকাস ও থিও এর্নান্দেস কাকে সমর্থন করবেন পাই লরেন্স? ছেলেদের তো আর আলাদা করা সম্ভব নয় কোনও মায়ের পক্ষে। পারছেন না তিনিও। চাওয়া শুধু দুজনই যেন ভালো পারফর্ম করেন মাঠে।

কিন্তু ছেলেরা? এ তো আর যেনতেন ম্যাচ নয়, মাদ্রিদ ডার্বি বলে কথা! হ্যাঁ, ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই দ্বৈরথেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দুই ভাই লুকাস ও থিও এর্নান্দেস। রিয়াল মাদ্রিদের লেফটব্যাক থিও, আর অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ক্যাম্পের ডিফেন্ডার  লুকাস। যাতে স্প্যানিশ ফুটবলের ধুলো পড়া ইতিহাসের পাতা খুললো নতুন করে। শনিবার ৯০ বছর পর আবার দুই ভাই মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মাদ্রিদ ডার্বিতে।

সেই ১৯২৯-৩০ মৌসুমে শেষবার মাদ্রিদ ডার্বিতে ভাই হিসেবে মুখোমুখি হয়েছিলেন আলফোন্সো ও লুইস ওলাসো। সেই ইতিহাস এবার সামনে আনলেন লুকাস ও থিও। ওলাসো ভাইদের মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাসটা বেশ মজার। ১৯২৮-২৯ মৌসুমেও তারা ভাগাভাগি করেছিলেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ড্রেসিং রুম। তাতে তাদের পরিবারের গর্বের শেষ ছিল না। কিন্তু ১৯২৯ সালে লুইস অ্যাতলেতিকো ছেড়ে যোগ দেন নগরপ্রতিপক্ষ রিয়ালে। ১৯২৯-৩০ মৌসুমের তৃতীয় সপ্তাহেই তারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। মাদ্রিদ ডার্বির ওই লড়াইয়ে জিতেছিলেন অ্যাতলেতিকোর আলফোন্সো। ভাই লুইসের রিয়াল মাদ্রিদকে তার দল হারিয়েছিল ২-১ গোলে।

ওই প্রথম ও শেষবার ওলাসো ভাইয়েরা মুখোমুখি হয়েছিল মাদ্রিদ ডার্বিতে। উত্তেজনাকর এই দ্বৈরথে এরপর আর দেখা মেলেনি দুই ভাইয়ের মুখোমুখি লড়াই। দীর্ঘ ৯০ বছর আবার সেই ইতিহাস ফিরিয়ে আনলেন এর্নান্দেস ভাইয়েরা। শনিবার রিয়াল-অ্যাতলেতিকো দ্বৈরথে তারা একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। অ্যাতলেতিকোর নতুন স্টেডিয়াম এস্তাদিও ওয়ান্দা মেট্রোপোলিটানোর এই লড়াইয়ে তারা মাঠে নামার সুযোগ পাবেন কিনা, সেটা অবশ্য বড় প্রশ্ন।

তাদের মা পাই লরেন্সের সেটা নিয়ে ভাবার সময় কোথায়। দুই ভাই মাদ্রিদ ডার্বির অংশ হচ্ছেন, তাতেই তার আনন্দের শেষ নেই। হার-জিত নিয়েও ভাবছেন না তিনি, বরং উপভোগ করছেন উপলক্ষটা। মজা করে যেমন বলেছেন, ‘ডার্বিতে মুখোমুখি হওয়ার আগে ওদের বলব, আমি ওদের ভালোবাসি। আশা করব সবকিছু যেন ঠিকঠাক মতো হয়; আর ওরা যেন মারামারি না করে, সবার আগে তো ওরা ভাই।’

লুকাস ও থিও দুজনই কিন্তু অ্যাতলেতিকোর যুব দলের। লুকাস এখনও ‘রোজিব্ল্যাঙ্কোদের’ সঙ্গে থাকলেও থিও এই গ্রীষ্মের দলবদলেই পাড়ি দেন রিয়ালে। ‘লস ব্ল্যাঙ্কোদের’ হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ৭ ম্যাচ। আর ২০১৪ সালে অ্যাতলেতিকোর মূল দলে অভিষেকের পর লুকাস খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ।

ভাইয়ের বিপক্ষে ভাইয়ের লড়াইটা অবশ্য নতুন নয় ফুটবলে। ক্লাবে মুখোমুখি হতেই পারে, জাতীয় দলে লড়াই করার উদাহরণও কিন্তু আছে! খুব বেশিদূর যেতে হবে না, ২০১৪ বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছিল দৃশ্যটি। গ্রুপ পর্বে জার্মানির প্রতিপক্ষ ছিল ঘানা। যেখানে জেরোম বোয়াটেংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল তার বড় ভাই কেভিন প্রিন্স বোয়াটেং।

ভাইদের আরেকটি দ্বৈরথ। মাদ্রিদ ডার্বির ইতিহাসে যা আসছে ৯০ বছর পর।

/কেআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা