প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারলেন না ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইল। দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থাকলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। তাদের ছোঁয়ায় বদলায়নি রংপুর রাইডার্সের ভাগ্যও। ঠিক এক সপ্তাহ পর মাশরাফি মুর্তজার দল বিপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হারলো ১৪ রানে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা করে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান। জবাবে ৭ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে রংপুর। পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠলো কুমিল্লা। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ৯ পয়েন্টে শীর্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস। আর চার ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষেই থাকলো রংপুর।
বিপিএলে প্রথমবার ম্যাককালাম ও গেইল একসঙ্গে জুটি গড়লেন শনিবার। শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। কুমিল্লার মেহেদী হাসানের দারুণ লাইন লেন্থের বলে প্রথম ওভারেই হাপিত্যেশ করেছেন তারা দুজন। গেইল তো প্রথম বলেই পরিষ্কার এলবিডাব্লিউ হতেন, কিন্তু মেহেদীর জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরের ওভারে একটি করে চার ও ছয় মেরে গ্যালারিতে হাজির হওয়া রংপুরের দর্শকদের উৎসবে মাতান ম্যাকালাম। কিন্তু মেহেদীর দ্বিতীয় ওভারে আবার রানখরা দুজনের ব্যাটে। টানা ২ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে কুমিল্লার এই স্পিনার প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন।
গেইল চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে মাত্র ২ রানে জীবন পেয়ে টানা তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস এনে দেন। কিন্তু ক্যারিবিয়ার তারকা বেশিক্ষণ এমন মারকুটে থাকতে পারেননি। আফগানিস্তানের স্পিনার রশীদ খান তার প্রথম ওভারে রংপুরের আশা ভরসার প্রতীক এই ব্যাটসম্যানকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। মাত্র ১৩ বলে ১৭ রান করেন গেইল। এক বল বিরতি দিয়ে কুশল পেরেরাও শূন্য রানে শিকার হন রশীদের।
প্রথম দুই ওভার গোছানো বোলিং করা মেহেদী এবার আরও ভয়ঙ্কর। নিজের তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রংপুরের ব্যাটিং লাইনআপে। তার শিকার হন ম্যাককালাম (১৩)। এক বল পর রানের খাতা না খুলে বিদায় হন শাহরিয়ার নাফীস।
৩১ রানেই তিনটি ও ৩২ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর ধাক্কা রংপুর আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যদিও রবি বোপারা ও মোহাম্মদ মিঠুন ৬৭ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু এই জুটি ভাঙলে টানা তৃতীয় হার এড়াতে পারেনি রংপুর। মিঠুন ৩১ রানে আউট হন। বোপারা ছিলেন ৪৮ রানে অপরাজিত।
মেহেদী ও রশীদ কুমিল্লার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় রংপুর। বোলিংয়ে মাশরাফিদের শুরুটা ভালো হয়েছিল। ৫৫ রানের মধ্যে তারা কুমিল্লার তামিম ইকবাল (২১), লিটন দাস (১১) ও জশ বাটলারকে (১) ফেরায়। শেষের দুজনকে টানা দুই ওভারে আউট করেন মাশরাফি।
এরপর মারলন স্যামুয়েলস ও ইমরুল কায়েসের ৪৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ। দুজনকে ফেরান থিসারা পেরেরা। ৩২ বলে ইনিংস সেরা ৪৭ রানে বোল্ড হন ইমরুল। ৪১ রানে স্যামুয়েলসের ক্যাচ নেন মিঠুন। পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক তার বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯ রান করে রানআউট হন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৬ ও হাসান আলী ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রংপুরের মাশরাফি ও পেরেরা দুটি করে উইকেট নেন।