প্রথম দুইদিন কেবল ৩২.৫ ওভার খেলা হলেও পেসারদের দারুণ নৈপুণ্যে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ভারত। ২৩১ রানের টার্গেট দিয়ে শ্রীলঙ্কার ৭টি উইকেট তারা নেয় ৭৫ রানের মধ্যে। কিন্তু বাধ সাধলো আলোকস্বল্পতা। শ্রীলঙ্কার ভারত সফর শুরু হলো স্বস্তির ড্র দিয়ে।
৪৯ রানে এগিয়ে থেকে কলকাতা টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিন দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমেছিল ভারত। ১ উইকেটে ১৭১ রানে খেলা শুরু করে তারা। লোকেশ রাহুল আর মাত্র ৬ রান করে আউট হন। সুরাঙ্গা লাকমল এই ওপেনারকে বোল্ড করেন ৭৯ রানে।
এরপর ভারতের ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিল শুরু হয়। লাকমল ৫৩তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে এর শুরু করেন। যাতে যোগ দেন দাসুন শানাকা। দুজনে পান তিনটি করে উইকেট।
তবে ভারতের বিপর্যয়ের সময় একাই প্রতিরোধ গড়েন বিরাট কোহলি। অধিনায়কের ব্যাটে আসে অপরাজিত ১০৪ রানের সেরা ইনিংস। ১১৯তম বলে টেস্টের ১৮তম সেঞ্চুরি করে ইনিংস ঘোষণা করেন ৩০ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক হিসেবে এটি ছিল তার ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে সুনীল গাভাস্কারের পাশে বসেছেন কোহলি।
৮৮.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫২ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ১৭২ রান। জবাবে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৯৪ রান। জয়ের জন্য ২৩১ রানের টার্গেট পায় সফরকারীরা। আম্পায়াররা ম্যাচ ড্র ঘোষণা করার আগে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৬.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৫ রান।
দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময়ে খেলতে নেমে জয়ের চেয়ে ড্র করাই যৌক্তিক মনে করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু দুই পেসার মোহাম্মদ সামি ও ভুবনেশ্বর কুমারের তোপে অস্বস্তিতে পড়ে যায় তারা। ২২ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দিনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকবিলার ৪৭ রানের জুটি কিছুটা সময় ভারতের বোলারদের উদযাপন থামিয়েছিল।
কিন্তু ভুবনেশ্বরের টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট আবার বিপদে ফেলেন লঙ্কানদের। শেষ পর্যন্ত আলোকস্বল্পতা বাঁচালো তাদের। ইনিংসে সেরা স্কোরার ডিকবিলা (২৭)। এছাড়া চান্ডিমাল (২০) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (১২) দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
ভুবনেশ্বর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৪ উইকেট। ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় ভারতের এই পেসার। দ্বিতীয় ইনিংসে সামি পেয়েছেন দুটি উইকেট।
তিন টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে আগামী ২৪ নভেম্বর নাগপুরে।