প্রত্যাশার পারদ ছুঁয়েছিল আকাশ। ক্রিস গেইল-ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ওপেনিং জুটিতে ঝড় দেখার প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিদের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশার সেই জবাব একেবারেই দিতে পারেননি বিধ্বংসী দুই ব্যাটসম্যান। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচে অবশ্য আনন্দের ঢেউ তুলেছিলেন গেইল-ম্যাককালাম। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৮০ রান। যেখানে গেইলের হাফসেঞ্চুরিতে রংপুর রাইডার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করে ১৬৯ রান।
গেইলের শুরুটা ছিল মন্থর। স্পিন আক্রমণ দিয়ে শুরু করা সিলেটের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয় তাকে। রানের খাতা খুলতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ১২ বল পর্যন্ত! পরে অবশ্য ফেরেন স্বরূপে। চার-ছক্কায় গ্যালারিতে ছড়ান উত্তেজনা। পেয়ে যান এবারের বিপিএলের প্রথম হাফসেঞ্চুরিও। এরপরও ইনিংসটা ঠিক গেইল-সুলভ হয়নি। ৩৯ বলে ৫০ রান গেইলের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে একটু বেমানানই। আবুল হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ২ চার ও ৫ ছক্কায়।
গেইল শুরুতে সংগ্রাম করলেও ম্যাককালাম ছিলেন আক্রমণাত্মক। প্রথম ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও সিলেটের বিপক্ষে জ্বলে ওঠে ২১ বলে খেলেন ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস, যাতে ছিল ৩ চার ও ৩ ছক্কার মার। উদ্বোধনী জুটি থেকে ভালো একটা ভিত পেলেও রংপুরের পরের ব্যাটসম্যানরা সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সিলেট বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে।
গেইলের আউটের পর কমে যায় রান তোলার গড়। মোহাম্মদ মিথুনের ২১ বলে ২৫, শাহরিয়ার নাফীসের ৮ বলে ৮, থিসারা পেরেরার ১২ বলে ১৫- এমন ব্যাটিংয়ের পরও যে রংপুরের রান ১৬৯ পর্যন্ত গেছে, তার জন্য প্রশংসা পাবেন রবি বোপারা। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে ফেরার আগে ১২ বলেন খেলেন তিনি ঝোড়ো ২৮ রানের ইনিংস।
সিলেটের সবচেয়ে সফল বোলার আবুল হাসান ২৪ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির হোসেন, টিম ব্রেসনান ও লিয়াম প্লাঙ্কেট।