ম্যাচের আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ঢাকা আবাহনী। শিরোপা আগে নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় উদযাপনের উপলক্ষটা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই গ্যালারিতে ছিল ঢাক-ঢোলের বাদ্য-বাজনা। মাঝে অন্ধকার ভেদ করে ছিল রঙিন আলোর আতশবাজি। কারণ আবাহনীর সুখকর সময়টা ধারণ করতে চেয়েছেন সমর্থকরা। তাই আনুষ্ঠানিকতার শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করে লিগের ষষ্ঠ ট্রফি নিয়ে উৎসব করেছে চ্যাম্পিয়নরা।
পুরস্কারের মঞ্চে কনকনে ঠাণ্ডাতেও অতিথিদের হাত থেকে ট্রফি নিয়েছে আবাহনীর খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। এসময় চারদিকে উড়েছিল কনফেত্তি । আলোর রোশনাই তো ছিলই। মাঠ জুড়ে সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস করেছে তীব্র শীতেও।
বৃহস্পতিবার ঘোড়ার গাড়িতে সমর্থকরা এসেছিল। সেই গাড়িতে করেই ট্রফি যাবে ক্লাবে। তার আগে ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে তিন পয়েন্ট পেতে পারতো ওয়ালি-সোহেল রানারা। যদিও মাঠের খেলায় ছিল না তেমন লড়াইয়ের উত্তাপ। অথচ প্রথম পর্বের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল ঢাকা আবাহনী।
প্রথম পর্বে দু’দল বল নিয়ন্ত্রণের জন্য খেলেছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই দৃশ্য। সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। উল্টো ৭৭ মিনিটে গোল থেকে বঞ্চিত হয় ঢাকা আবাহনী। বক্সের ভেতর থেকে নাবীব নেওয়াজ জীবনের বাড়ানো বলে নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবার সাইড ভলি পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশই হতে হয়েছে তাদের।
শেষ দিকে সুযোগ হারায় চট্টগ্রাম আবাহনীও। ৮৯ মিনিটে মান্নাফ রাব্বীর শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
২২ ম্যাচে ১৬ জয় ও চার ড্রয়ে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করল চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর।
ম্যাচ শেষে ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, ‘দ্বিতীয় পর্ব থেকে খেলোয়াড়রা আন্তরিক ছিল আরও বেশি। পাঁচ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলাম। হতাশ হইনি। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা খেলোয়াড়ের জন্য অনেক কিছু। সমর্থকদের এমন ভালোবাসা ভোলার মতো নয়। ফুটবল যে হারিয়ে যায়নি,তারই প্রমাণ এসব। আর প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল এসেছে।’
আবাহনীর ছয়টি লিগ ট্রফির মধ্যে সবকটিতে সাক্ষী ছিলেন মিডফিল্ডার প্রানতোষ। সমর্থকবেষ্টিত অবস্থায় তিনি বললেন, ‘অনেক খেলোয়াড় আছে জীবনে ট্রফির স্বাদ পায়নি। কিন্তু আমি ১০ বছরে ছয়টি ট্রফি দেখেছি। এখনও মনে করি আবাহনীই সেরা। এটা বড় অর্জন, এখন এএফসি কাপে ভালো করার লক্ষ্য।’