ক্রিকেটীয় খেলোয়াড় সুলভ আচরণকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যুব বিশ্বকাপে ২০১৬ সালে মানকড় করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিল এই দলটি। এবার ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের’ দোহাই দিয়ে উইকেট নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও। বুধবার গ্রুপ ‘এ’ পর্বের ম্যাচে এমন আউটে আবার সমালোচনা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়ী মনোভাব নিয়ে!
১৭তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার জিভেশান ফিলাইয়ের ইনসাইড এজ হয়ে আসা বল এসে থামে অফ স্টাম্পের কাছেই। থেমে থাকা সেই বল তুলে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেট রক্ষক ও অধিনায়ক ইমানুয়েল স্টেওয়ার্টের হাতে। তখনই অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের জন্য আবেদন করে বসেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত থার্ড আম্পায়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষেই রায় দেন।
আসলে আইসিসির নিয়ম অনুসারে সেই আউট অবৈধ ছিল না। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবেদন করায় বাধ্য হয়েই অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের কারণে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। তবে নিয়মের বাইরে না হলেও প্রশ্ন উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অখেলোয়াড়ী সুলভ আচরণ নিয়ে।
অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড নিয়ে আইসিসির নিয়ম বলে বিধি ৩৭.৪ অনুসারে কোনও বল ফিল্ডারকে দিতে গিয়ে কোনও ব্যাটসম্যান অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের কারণে আউট হবেন, যদি সেই বল খেলার মাঝেই থাকে এবং ফিল্ডারের অনুমতি ছাড়া সেই বল ব্যাট অথবা অন্য কোনও অংশ দিয়ে ফিল্ডারকে দিয়ে থাকে।
বিধি অনুযায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়মের বাইরে কিছু করেনি। তবে দলটির এমন আচরণে সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়া পেসার মিচেল জনসন, ‘এমন করা তোমাদের উচিত ছিল না। আমরা এটা পছন্দ করি আর নাই করি, খেলার নিয়মে বিষয়টি আছে। তবে খেলোয়াড়ী সুলভ আচরণের দিক দিয়ে দেখলে সে কিন্তু কোনও অপরাধ করেনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিসও চুপ মেরে থাকেননি, ‘বিষয়টা হাস্যকর... খেলোয়াড়ী সুলভ মনোভাবের সঙ্গে এটা যায় না। আমি নিজেই এমন করেছি শতবারের মতো।’