ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যেতে হলে রবিবার বিশাল ব্যবধানে জয় দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই সিরিজে জয় পেলেও তার ব্যবধানটা ছিল মাত্র ২ রানের। তাই নেট রান রেটে শেষ হাসি হাসতে পারেনি ইংলিশরা। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
আজকের ম্যাচে হারলেও ফাইনালে যেতে পারবে নিউজিল্যান্ড। এ সমীকরণ মাথায় নিয়ে শুরুতে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল। উল্টো দিকে ইংলিশদের জন্যে ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার। তাই ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ছিলেন অধিনায়ক এউইন মরগান। তার ৪৬ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। অবশ্য এই বিশাল ইনিংসে ডেভিড মালানের ভূমিকাও কম ছিল না। মরগানের আগের ঝড়টা তুলেছিলেন তিনিই। ৩৬ বলে ৫৩ রান করে বিদায় নেন। মালানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৫টি ছয়। অপরদিকে অপরাজিত ছিলেন মরগান। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছয়।
এমন আগ্রাসী শেষের শুরুটা ছিল আতঙ্ক ছড়ানো। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা স্লথ গিয়েছিল ইংলিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিল, ঠিক তখনই প্রতিরোধের মূল দেওয়ালটা গড়ে তুলেন মালান ও মরগান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, ২টি নেন সাউদি।
জবাবে নিউজিল্যান্ডও সমান তালে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৯২ রান তুলতে পারে। দলটির হয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। ৪৭ বলে বিদায় নেওয়ার আগে ৬২ রান করেন গাপটিল। তবে অপেক্ষাকৃত দাপুটে ছিলেন মুনরো। ২১ বলে ৫৭ রান করেন। যেখানে ছিল ৩টি চার ও ৭টি ছয়। শেষ দিকে চাপ যখন পাহাড়সম তখন মার্ক চ্যাপম্যান চেষ্টা করেছিলেন সেই চাপ উতরে যেতে। ৩০ বলে ৩৭ রান তুললেও জয়ের জন্যে যথেষ্ট ছিল না এই ইনিংস। ম্যাচসেরা হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান।