X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝিমিয়ে পড়েছে নওগাঁর মহিলা ক্রীড়া সংস্থা

নওগাঁ প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৯আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৪১

নওগাঁ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা বিশ্বের বেশির ভাগ জায়গায় এখন নারীদের পদচারণা। এমন কোনও ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারীর পা পড়েনি। আমাদের দেশে ফুটবল-ক্রিকেট থেকে শুরু করে নারীরা এখন বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়ে বিশ্বের নজর কাড়ছে। কিন্তু নওগাঁয় নতুন করে তৈরি হচ্ছে না নারী খেলোয়াড়। কারণ ঝিমিয়ে পড়েছে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম। আর্থিক সঙ্কটকে এর জন্য দায়ী মনে করছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ।

আশি ও নব্বই দশকে নওগাঁ ক্রীড়াঙ্গন ছিল মুখরিত। সেই সময়ে অনেক নারী খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে জেলায়। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন ও নিয়মিত খেলার আয়োজন না করায় এখন ঝিমিয়ে পড়েছে নওগাঁর মহিলা ক্রীড়াঙ্গন। এক সময় নওগাঁর নারী খেলোয়াড়দের সুনাম ছিল দেশজুড়ে। তারাও খেলেছেন জাতীয় পর্যায়ে। নওগাঁর মেয়ে ডলি রানী এখন বিকেএসপির নারী ক্রিকেট দলের কোচ। 

তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের বরাদ্দ, উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও নারীদের জন্য আলাদা খেলার মাঠ পেলে আবার নওগাঁর নারী ক্রীড়াঙ্গন জেগে উঠবে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ২০১৬ সালে ৪ বছরের জন্য জেলা নারী ক্রীড়া সংস্থার ১৭ জনের একটি পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অর্থ সঙ্কটসহ নানা কারণে এই কমিটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। বর্তমানে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের অবস্থা খুবই নাজুক।

বিকেএসপির নারী ক্রিকেট দলের কোচ নওগাঁর মেয়ে ডলি রানী বলেন, ‘খেলার বিষয়ে নওগাঁর মেয়েরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। নওগাঁ থেকে নতুন মেয়ে খেলোয়াড় বের হয়ে আসছে না। যদি জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা উদ্যোগ গ্রহণ করে ও মেয়েদের জন্য নিয়মিত খেলার আয়োজন করে তাহলে নওগাঁ থেকেও অনেক মেধাবী মেয়ে খেলোয়াড় তৈরি করা সম্ভব। জেলার মহিলা ক্রীড়া সংস্থাকে আবার সচল করে তোলার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’ খেলার জগৎ থেকে নওগাঁর নারীদের নাম একদিন মুছে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এই ক্রীড়াবিদ।

জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদা ইফেৎ বানু হাসি বলেন, ‘মূলত আর্থিক সঙ্কটের কারণে আমাদের জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। অর্থের অভাবের কারণে আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও খেলার আয়োজন করতে পারি না। এমনও হয়েছে, অর্থের অভাবে আমরা শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বছরে যেটুকু অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও আমরা অনেক কিছুই করতে পারি না। আমাদের খরচ বেড়েছে, কিন্তু বরাদ্দ ২০বছর আগে যা ছিল এখনও তাই রয়েছে। যদি সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠক আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আবার আমরা নওগাঁর নারী খেলার জগৎকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারবো।

/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি