বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম আজ অন্যরকম সাজে সেজে উঠেছে, সব কিছুই বর্ণিল। আনন্দ-উৎসবের মাঝে প্রথম জাতীয় যুব গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পর গেমসের মশাল প্রজ্বালন করেন কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী শুটার আসিফ হোসেন খান। গেমসের মাস্কট ‘তেজস্বী’।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। ‘এক ঝলকে বাংলাদেশ যুব গেমস’- এর অডিও ভিজুয়াল ডিসপ্লের পর মাঠে প্রবেশ করেন আট বিভাগের ক্রীড়াবিদরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাসকট প্যারেডের পাশাপাশি নাচ ও গান পরিবেশিত হয়, যেখানে অংশ নেন দেশসেরা কণ্ঠ ও নৃত্য শিল্পীরা। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রদর্শিত হয় ডিসপ্লে। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল লেজার শো।
অনূর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী প্রতিযোগীদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় যুব গেমস সাড়া ফেলেছে সারা দেশে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের লড়াই শেষে গেমসের চূড়ান্ত পর্ব হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করার মিশন শুরু হয়। ২৩ হাজার ২১০ জন অংশ নিয়েছেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে। এখন বাছাই করা দুই হাজার ৬৬০ জন ক্রীড়াবিদ চূড়ান্ত পর্বে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর অপেক্ষায়। শেষ পর্বে ১৫৯টি ইভেন্টে এক হাজার ১১২টি পদকের জন্য লড়াই করবেন তারা। লড়াই হবে ৩৪০টি স্বর্ণ, ৩৪০টি রৌপ্য এবং ৪৩২টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য।
চূড়ান্ত পর্বের ডিসিপ্লিনগুলো হলো- অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ফুটবল, কাবাডি, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, হকি, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, শুটিং, আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, দাবা, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো ও স্কোয়াশ। এরই মধ্যে একাধিক ডিসিপ্লিনের খেলা শুরু হয়েছে।