একের পর এক দুঃসংবাদ বাংলাদেশের ক্রিকেটে। এক সপ্তাহ আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে ৬ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন নাসির। এবার ছিটকে গেলেন মুশফিকুর রহিম।
চোটের কারণেই তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ খেলতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। চোটের এই মিছিল বন্ধ করতে কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ বিশ্বাস ক্রিকেটারদের ফুটবল খেলতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তার সতর্কতার পরও ফুটবল খেলতে গিয়েই গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন মুশফিক।
বগুড়াতে উত্তরাঞ্চলের হয়ে বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে মাঠে নেমেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে শুরু করেছিলেন প্রতিযোগিতাটি। কিন্তু শুক্রবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাঁধান ইনজুরি। আর তাতেই মাঠের বাইরে ছিটকে যান মুশফিক। তবে কতদিনের জন্য বাইরে থাকতে হবে, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না দেবাশিষ।
সাবেক টেস্ট অধিনায়কের চোট নিয়ে বিসিবির এই চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘খুব যে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন মুশফিক, তেমনটা নয়। এক সপ্তাহ পর পুরো ব্যাপারটা বোঝা যাবে। ইতিমধ্যে চার দিন পেরিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে তার বিশ্রাম প্রয়োজন। সেটাই তিনি নিচ্ছেন। গোড়ালির চোট সারতে কিছুটা সময় লাগে। তবে কতদিন লাগবে, এখনোই তা বলা মুশকিল।’
গত মঙ্গলবার ফুটবল খুব গুরুত্ব দিয়ে না খেলতে ক্রিকেটারদের অনুরোধ করেছিলেন দেবাশিষ। তিনি বলেছিলেন, ‘চোট তো বলে-কয়ে আসে না, খেলতে গেলে ইনজুরি হতেই পারে। তবে অনেক সময় ক্রিকেটাররা ফুটবল খেলতে গিয়ে চোটে পড়ে। গা গরমের জন্য যে ফুটবল খেলা হয়, সেখানে নিয়ম-কানুন তেমন মানা হয় না, তাই ইনজুরি বেশি হয়। ক্রিকেটারদের ফুটবলকে শুধুই একটা খেলা হিসেবে দেখা উচিত। ফুটবল খেলতে গিয়ে অনেক সময় লড়াকু মনোভাব চলে আসে, আর তখনই ঘটে বিপত্তি।’
সেই বিপত্তির শিকার এবার মুশফিক। সেই সঙ্গে বাংলাদেশও। সামনের সিরিজটা দূরে থাকায় হয়তো এই চোট খুব একটা প্রভাব ফেলবে না; তবে বিষয়গুলোতে যে বিসিবির নজর দেওয়া প্রয়োজন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।