এএফসি কাপে প্রথমবার ডাগআউটে ছিলেন সাইফুল বারী টিটু। তাকে সেই সুযোগটি করে দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। তবে সুখের হয়নি প্রথমবারের অভিজ্ঞতা। ৬ ম্যাচে মাত্র একটি করে জয় ও ড্র। বাকি চার ম্যাচে হার। দলের এই পারফরম্যান্সের কারণে এএফসি কাপে তার কোচিং নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে সমর্থকরা। টুর্নামেন্ট শেষে বিদায় নেওয়া এই কোচ সমালোচকদের সমালোচনায় চুপ থাকলেন না।
এএফসি কাপে আবাহনী প্রায় সব ম্যাচে কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছে। নির্দেশনা থাকুক বা না-ই থাকুক, দল অনেক সময় রক্ষণাত্মক পদ্ধতিতে ছিল। বিশেষ করে আইজল এফসির বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকাটা ছিল স্পষ্ট। তাছাড়া অন্য ম্যাচেও আগ্রাসী ছিল তারা খুব কম।
বাংলাদেশের এই রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ঝড়। কোচের কারণে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা কমিয়ে দিয়েছে দল, এমন কথা উঠেছে। কিন্তু নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন টিটু। শুধু এএফসি কাপের জন্য আবাহনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোচ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি মোটেও রক্ষণাত্মক কোচ নই। যারা আমার সমালোচনা করছে, তারা আসলে কতটকু ফুটবল বোঝে সেটা নিয়ে আমার সংশয় আছে।’
এজন্য খেলোয়াড়দের দায় কিছুটা রয়েছে মনে করেন টিটু, ‘অনেক সময় যার যার পজিশন নিয়ে খেলায়াড়দের খেলতে বললেও তারা সেটা ভুলে রক্ষণ লাইনে চলে আসে। এতে আমার কী করার আছে। কেউ যদি তার পজিশন অনুযায়ী খেলতে না পারে, তাহলে সেখানে কোচ কী করবে। কোচ তো বলেনি, তোমরা রক্ষণাত্মক খেল।’
তবে এএফসি কাপে আরও প্রস্তুতি নিয়ে খেলার পরামর্শ দিলেন এই কোচ, ‘যদি মৌসুম চলার সময় এই আসর হতো, তাহলে ফল আরও ভালো হতে পারতো। তবে আন্তর্জাতিক আসরে খেলার আগে নিজেদের ঘরোয়া কাঠামো আরও ভালো করতে হবে। রেফারিং থেকে শুরু করে অন্য জায়গায়তেও, সবাইকে আরও পেশাদার হতে হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরে ভালো ফল করা কঠিন হবে।’
আবাহনী কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিয়ে টিটু বলেছেন, ‘আমাকে এএফসি কাপে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আবাহনীর ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ। তারা সব দিক থেকে সাহায্য করেছে। এএফসি কাপের মাধ্যমে আমার পরিচিতি আরও বেড়েছে। আমার লক্ষ্য ছিল আগের চেয়ে ভালো ফল করার। কিন্তু সেভাবে হয়নি।’