X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে লিজেন্ডদের শেষ পদধূলি

ফাহিম হোসেন মাজনুন
২১ মে ২০১৮, ১৬:৪৩আপডেট : ২১ মে ২০১৮, ১৬:৫১

উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিশ্বকাপ। আর মাত্র ২৪ দিন। যতই দিন আসছে, প্রিয় দলকে নিয়ে প্রত্যাশা বেড়ে যাচ্ছে। প্রিয় খেলোয়াড়রা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে তো! এসব ভাবনা আসছে মনে। কয়েক জন তো এবারই শেষ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। আর কোনোদিন বিশ্ব আসরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন না তারা। শেষ বেলায় তারা কতটা উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের স্বাক্ষর রাখবেন সেটা দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা। ফিফা ডটকম এমন চার জন খেলোয়াড়কে নিয়ে আলোচনা করেছে, যারা বিশ্বকাপে দারুণ ছাপ ফেলেছেন এবং রাশিয়াতেই শেষ বার বিশ্ব মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

রাফায়েল মারকেস রাফায়েল মারকেস, ৩৯

মেক্সিকো

‘সব মেক্সিকান খেলোয়াড়দের কাছে সে কিসের প্রতিনিধিত্ব করে সেটা বর্ণনা করার মতো যথেষ্ট শব্দ জানা নেই। তাকে যদি আমার জায়গা দিয়ে দিতে হয়, তাহলে আমি তার কাছে ছেড়ে দেবো।’- বলেছেন মেক্সিকো সতীর্থ কার্লোস ভেলা।

এপ্রিলে ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন মারকেস। ২২ বছর আগে যেই অ্যাটলাসে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, সেখানে ফিরে গিয়েই একটি অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন তিনি। ‘কাইজার’ নামে পরিচিত এই মেক্সিকান তারকা রাশিয়াতে বিশ্বকাপ উপভোগ করার শেষ সুযোগ পাচ্ছেন। ২৩ জনের চূড়ান্ত দলে জায়গা হলে সবচেয়ে বেশি ৫ বার বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডে স্বদেশী আন্তোনিও কারবাহাল ও জার্মানির লোথার ম্যাথাউসের সঙ্গে ভাগ বসাবেন তিনি।

অবশ্য নতুন একটি রেকর্ড আগেই গড়েছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পর কেবল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ১৯ বছর বয়সী মারকেসের। দেরিতে হলেও ২০০২ সালের বিশ্বকাপে জায়গা হয় তার, পান নেতৃত্ব। পরের তিনটি বিশ্বকাপেও অধিনায়কত্ব করেন তিনি। এতে করে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা চারটি বিশ্বকাপের অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়েন মারকেস।

বিশ্বকাপ অভিষেক- মেক্সিকো ১-০ ক্রোয়েশিয়া, ৩ জুন ২০০২

টুর্নামেন্ট- ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪

মোট ম্যাচ- ১৬টি

স্মরণীয় মুহূর্ত- ২০১০ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে সমতা ফেরানো গোল করেন।

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ৩৪

স্পেন

‘সর্বকালের প্রতিভাবান স্প্যানিশ খেলোয়াড় সে’- বলেছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের সাবেক সতীর্থ জাভি।

জোহানেসবার্গের সকার সিটি, স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিট। ঠিক এই সময়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে চিরদিনের জন্য জায়গা করে নেন ইনিয়েস্তা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে সবচেয়ে বেশি মনে রাখবে ২০১০ বিশ্বকাপের ওই ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে তার করা লক্ষ্যভেদী ভলির কারণে। ব্যাখ্যাতীত শৈল্পিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে খেলাকে এক মুহূর্তে পাল্টে দেওয়ায় বেশ খ্যাতি আছে তার।

২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক দিন আগে স্পেনে অভিষেক হয় ইনিয়েস্তার। তারপর থেকে দলের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনি। বার্সেলোনার সঙ্গে দুই দশকের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার পর এখন জাতীয় দলেও শেষ করার অপেক্ষায় এই মিডফিল্ডার। আবেগঘন কয়েকটি মাস কাটতে যাচ্ছে মাঝমাঠের এই জাদুকরের।

বিশ্বকাপ অভিষেক- সৌদি আরব ০-১ স্পেন, ২৩ জুন ২০০৬

টুর্নামেন্ট- ২০০৬, ২০১০, ২০১৪

মোট ম্যাচ- ১০টি

স্মরণীয় মুহূর্ত- ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের জয়সূচক গোল।

টিম ক্যাহিল টিম ক্যাহিল, ৩৮

অস্ট্রেলিয়া

‘টিমি দুর্দান্ত ছিল, এ কারণেই সে সর্বকালের সেরা’- অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফে উঠানো ক্যাহিলকে নিয়ে বলেছেন সাবেক কোচ আঙ্গে পোস্তেকোগলু।

অস্ট্রেলিয়ার আধুনিক বিশ্বকাপ যুগে একমাত্র ধারাবাহিক খেলোয়াড়। বিশ্ব মঞ্চে আলো কাড়তে খুব বেশি সময় নষ্ট করেননি ক্যাহিল। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জয়ে ২০০৬ সালে জাপানের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন তিনি। তিনি গোল করেননি, কিন্তু ম্যাচ জিতেছে সকারুরা- এমনটা ঘটেনি কখনও।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তার গোল ৫টি। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে চিলির বিপক্ষে গোল করে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপে গোলের কৃতিত্ব দেখান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা এবার রাশিয়াতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়তে পারেন।

বিশ্বকাপ অভিষেক- অস্ট্রেলিয়া ৩-১ জাপান, ১২ জুন ২০০৬

টুর্নামেন্ট- ২০০৬, ২০১০, ২০১৪

মোট ম্যাচ- ৮টি

স্মরণীয় মুহূর্ত: ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে তার জোরালো ভলি গোল।

হাভিয়ের মাসচেরানো হাভিয়ের মাসচেরানো, ৩৩

আর্জেন্টিনা

‘আমার ক্যারিয়ারে যতজনকে দেখেছি তার মধ্যে অন্যতম বুদ্ধিমান খেলোয়াড়’- বলেছেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা।

দলে মাসচেরানোর মূল্য হয়তো কেউ কেউ আমলে নেয় না। তবে আর্জেন্টিনার শেষ তিন বিশ্বকাপের প্রতিটি মিনিট খেলে জানান দিয়েছেন, তিনি কতটা মূল্যবান। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে ‘মাসচেরানো ও অন্য ১০ জনের’ দল বলেছিলেন। এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে তো অধিনায়কত্বই দিলেন পরে।

চার বছর আগে খুব কাছে গিয়েও হাতে নিতে পারেননি আকাঙ্ক্ষিত ট্রফি। অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোয়েৎসের গোলে জার্মানির কাছে শিরোপা হারান তিনি। সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া হলো তার। যাই হোক, আর্জেন্টিনার জার্সিতে সেই অপূর্ণ থাকা স্বপ্ন পূরণে এটাই তার শেষ সুযোগ। রাশিয়াতে পুরো দলকে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে চাইবেন তিনি।

বিশ্বকাপ অভিষেক- আর্জেন্টিনা ২-১ আইভরি কোস্ট, ১০ জুন ২০০৬

টুর্নামেন্ট- ২০০৬, ২০১০, ২০১৪

মোট ম্যাচ- ১৬টি

স্মরণীয় মুহূর্ত- ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দারুণ ট্যাকলে আরিয়েন রবেনকে একেবারে গোলমুখের সামনে রুখে দেন।

/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে লড়ছে ভাই-ছেলে, শাজাহান খান বললেন, ‘পরিবারের ঐতিহ্য’
উপজেলা নির্বাচনদলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে লড়ছে ভাই-ছেলে, শাজাহান খান বললেন, ‘পরিবারের ঐতিহ্য’
সিলিং ফ্যানের যত্নে ৬ টিপস
সিলিং ফ্যানের যত্নে ৬ টিপস
শাসন করতে গিয়ে ছুরির আঘাতে মেয়ের মৃত্যু, গ্রেফতার বাবা
শাসন করতে গিয়ে ছুরির আঘাতে মেয়ের মৃত্যু, গ্রেফতার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান