হাঁটুর চোটে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে সের্হিয়ো রোমেরোর। তিনি হতাশায় পুড়লেও কপাল খুলে গেছে নাহুয়েল গুজমানের। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে যে সুযোগ পেয়ে গেছেন এই গোলরক্ষক।
মঙ্গলবার আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করে, হাঁটুর চোটে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে রোমেরোর। চোটের অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষককে।
খবরটা আর্জেন্টিনার জন্য বড় এক ধাক্কা হয়ে এসেছে। বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক ছিলেন রোমেরো। শারীরিকভাবে কোনও সমস্যা না হলে গোটা বিশ্বকাপে তাকেই দেখা যেত গোলবারের নিচে। কিন্তু হাঁটুর চোট কেড়ে নিয়েছে তার বিশ্বকাপ। মঙ্গলবার দলের অনুশীলনের সময় ব্যথা অনুভব করার পর এএফএ দুঃসংবাদটি দিয়েছে ভক্তদের।
রোমেরো ছিটকে যাওয়ার কিছু সময় পরই তার বদলি হিসেবে গুজমানের নাম ঘোষণা করেছেন আলবিসেলেস্তেদের কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। ৩৫ জনের প্রাথমিক দলে ছিলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগারসের হয়ে খেলা এই গোলরক্ষক, যদিও সুযোগ হয়নি ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে। তবে রোমেরোর চোটে খুলে গেল তার বিশ্বকাপের দরজা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো- রোমেরোর অভাব কি পূরণ হবে গুজমানে? সাম্পাওলির পরিকল্পনায় হয়তো পছন্দের একাদশে নেই নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের সাবেক এই গোলরক্ষক। কিন্তু বদলিটা যখন রোমেরোর, তখন তার সামর্থ্য নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক টাইগারসের হয়ে তিন বছরে জিতেছেন তিন লিগ শিরোপা। গোলবারের নিচে তার পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসা করার মতো। তবে জাতীয় দলের প্রসঙ্গে এলে গুজমানের সুযোগ হয়েছে খুবই কম। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনা দলে অভিষেক হলেও খেলেছেন মাত্র ৬ ম্যাচ, যার সবশেষটি আবার সেই ২০১৫ সালে।
রোমেরোর কারণেই আসলে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তার। এবার ম্যানইউয়ের এই গোলরক্ষকের চোটেই কপাল খুলে গেছে তার। দায়িত্বও তাই অনেক বেশি। গুজমানের সঙ্গে দলের বাকি দুই গোলরক্ষক হলেন চেলসির উইলি কাবায়েরো ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রিভার প্লেটের ফ্রাঙ্কো আরমানি। রয়টার্স