গত সাতটি ম্যাচে নিজেদের হারিয়ে খুজঁছিল স্বাগতিক রাশিয়া। দলটা স্বাগতিক বলেই সৌদি আরবকে পাত্তা দেয়নি প্রথমার্ধে। প্রথমার্ধে ২-০ অগ্রগামিতায় শেষ করেছে রাশিয়া।
দুই দলের ফরমেশনে চোখ রাখলেই পার্থক্যটা টের পাওয়া যায়। তুলনামূলক রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে নেমেছিল সৌদি। তাদের ফরমেশন ছিল ৪-৫-১। উল্টো দিকে রাশিয়া ছিল আরও আক্রমণাত্মক ফরমেশনে ৪-২-৩-১।
আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেই বিশ্বকাপের প্রথম গোল পায় রাশিয়া। বিশ্বকাপের প্রথম গোল আসে ১২ মিনিটে। রাশিয়ান মিডফিল্ডার ইউরি গাজিনিস্কির অসাধারণ হেডে প্রথমার্ধে তারা এগিয়ে যায়। এই গোলে আরেকটি রেকর্ডও সঙ্গী হলো রাশিয়ান এই মিডফিল্ডারের। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনও ফুটবলার প্রথম শটেই অনটার্গেটে জালে বল জড়ালেন। সবশেষটি করেছিলেন জার্মানির ফিলিপ লাম।
রাশিয়া ১৪ মিনিটে আবারও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল। যদিও জালে বল জড়ায়নি সেই বল। জালে জড়ালে ভিএআর-এর দ্বারস্থ হতেই হতো। কারণ মারিও ফের্নাদেন্স ছিলেন অফসাইড পজিশনে।
২১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে সুর্বণ সুযোগ পেয়েছিল সৌদি। মোহাম্মদ আল-শাহলাই স্কোর করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন, যদিও তার ওপর পাল্টা চাপ প্রয়োগ করেন রাশিয়ান ডিফেন্ডার ইলা কুতেপোভ। তাতে বল চলে যায় পোস্টের বাইরে।
২৩ মিনিটে বিশাল ধাক্কা হয়ে আসে রাশিয়ান মিডফিল্ডার আলান জাগোভের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। তাতে দ্রুত মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে। বদলি হয়ে মাঠে নামেন আরেক মিডফিল্ডার দেনিস চেরিশেভ। এই চেরিশভই রাশিয়াকে পাইয়ে দেন দ্বিতীয় গোল। ৪৩ মিনিটে সৌদি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে বল চ্যালেঞ্জ করেছিল। জটলা থেকে বল কাটিয়ে সৌদি গোলকিপার আবদুল্লাহ আল-মাইউফকে বোকা বানিয়ে দর্শনীয় এক গোল করে রাশিয়াকে ২-০ লিড এনে দেন চেরিশেভ।
এর আগে ৩৬ মিনিটে সৌদি আরবের বিপজ্জনক এলাকায় ওসামা হাউসায়ির ট্যাকেলের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার আলেক্সান্দার গোলোভিন। তিনি রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন করলেও তা বাতিল করে দেন রেফারি।