ইন্দোনেশিয়ার এশিয়ান গেমস হকিতে ভালো করতে প্রথমবার জাতীয় হকি দলের জন্য কমান্ডো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার থেকে তা শুরু হয়ে চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে বিমানবাহিনীর ৪১ নং স্কোয়াড্রনে হবে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ। জাতীয় দলের ৩০ জন খেলোয়াড় এখানে অংশ নেওয়ার কথা। খেলোয়াড়রা এই কমান্ডো ট্রেনিং নিয়ে কিছুটা ভয়ে থাকলেও তাদের মধ্যে রোমাঞ্চ কাজ করছে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ২০০৭ সালে প্রথম সিলেটে কমান্ডো ট্রেনিংয়ে ছিল। এবার হকি দল শুরু করতে যাচ্ছে। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মামুনুর রহমান চয়ন এমন প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছুটা ভীত হওয়ার পাশাপাশি রোমাঞ্চিতও। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা শিহরিত। কমান্ডো ট্রেনিং ক্রিকেটাররা করেছে আগে। হকির জন্য নতুন হচ্ছে। শুনেছি এই কমান্ডো ট্রেনিংয়ে কষ্ট অনেক। একটু ভয় লাগছে। এখন দেখা যাক কী হয়।’
ভয় দূর করে চ্যালেঞ্জও জিততে চান এই ডিফেন্ডার, ‘ভয় তো লাগার কথা। শুনেছি কমান্ডো ট্রেনিং অনেক চ্যালেঞ্জের বিষয়। আমরা তো মাঠে পরিশ্রম করি। এখন ওখানে কী হবে না হবে, কিছু তো জানি না। আসলে কী অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য জানি না। ওখানে অন্যরকম পরিশ্রম করতে হবে, সেটা বুঝতে পারছি।’
এই চারদিনে নিজেদের উজাড় করে দিতে চান খেলোয়াড়রা। চয়নের বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার, ‘বলতে পারেন, ভয় থেকে আবার রোমাঞ্চও কাজ করছে বেশি। চারদিনে তো মরে যাব না। এটা আমাদের সারা জীবন কাজে লাগবে। আমরা কতটা টিম ওয়ার্ক করতে পারি, কে কত পরিশ্রম করতে পারি এবং মানসিকভাবে দৃঢ় হতে পারি, কোচ সেটা দেখতে চাচ্ছেন।’
সিনেমায় কিংবা টেলিভিশনে কমান্ডো ট্রেনিংয়ের কষ্টকর মুহূর্ত দেখে কিছুটা বিচলিত এই ডিফেন্ডার, ‘যতগুলো সিনেমা দেখেছি মনে হয়েছে সেগুলো কষ্টকর। আমরা এখান থেকে যেন শিখতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেখা যায় অনেক সময় ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকি, হতাশ হয়ে যাই। কিন্তু এটা যেন না হই। এজন্য মানসিকভাবে ধৈর্য ধরে সব কষ্ট যেন সহ্য করতে পারি, সেটাই কমান্ডো ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কাজে লাগবে। ৩০ জন ক্যাম্পে আছে। সেখানে তাবুতে থাকবো। এখন একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে আছি যে কী হয় সেখানে।’