৫ বছর আগে সবশেষ টেস্ট খেলা মোহাম্মদ আশরাফুলের দখলে ছিল রেকর্ডটি। আশরাফুলের ৬১টি টেস্ট খেলার এই রেকর্ড জ্যামাইকা টেস্টে নিজের করে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। চলতি টেস্ট মিলিয়ে সাদা পোশাকে মুশফিকের ম্যাচের সংখ্যা এখন ৬২।
মুশফিক ছাড়া ৫০ কিংবা তার ওপরে টেস্ট খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা মাত্র চারজন। সবচেয়ে বেশি ৬১ টেস্ট খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল। এছাড়া বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার খেলেছেন ৫০ টেস্ট। তামিম ইকবাল ৫৬ টেস্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে। আর সাকিব ৫৩ টেস্ট খেলে আছেন চতুর্থ স্থানে।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ বছর ৩৫১ দিন বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকের। শুরুর পথটা অবশ্য মসৃণ ছিল না। ইংল্যান্ডে ব্যর্থ হওয়ার পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় দফা সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। ১৬ মাস পর একই দলের বিপক্ষে ফের সুযোগ পান তিনি।
ওই সিরিজের প্রথম টেস্টে একাদশের বাইরে থাকলেও দ্বিতীয় টেস্টে খালেদ মাসুদের জায়গায় প্রথমবারের মতো সুযোগ মিলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেই শুরু, এরপর একটু একটু করে নিজেকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন উচ্চতায়। নিজের যোগ্যতা ও প্রতিভা দিয়ে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় দলের নেতৃত্ব পান। যদিও সময়ের ব্যবধানে এই মুহূর্তে ‘সাধারণ’ ক্রিকেটার হিসেবেই দলের অংশ হয়ে আছেন মুশফিক।
২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। চলতি টেস্ট বাদে ৬১ টেস্টে ৩৪.৩৭ গড়ে ৩ হাজার ৬৪৪ রান করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ২০০ রানের ইনিংস। ৫টি সেঞ্চরির পাশাপাশি মুশফিকের রয়েছে ১৯টি হাফসেঞ্চুরি। টেস্ট খেলুড়ে সব দলের বিপক্ষেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। ভারতের বিপক্ষেই সাফল্য বেশি, প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৫৬.১৬।
শুধু তা-ই নয়, সব ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়েও সবার শীর্ষে আছেন মুশফিক। চলতি টেস্টসহ মুশফিকের মোট ম্যাচ ৩১৭। ৩০৪ ম্যাচ খেলে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল মুশফিক। তার অধিনায়কত্বে ৩৪ ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছে ৭ জয়। বাকি ১৮টিতে হার এবং ৯টি ড্র হয়েছে। মুশফিকের পরেই আছেন হাবিবুল বাশার। তিনি ১৮ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে এক জয়ের পাশাপাশি ড্র এনে দিয়েছেন ৪ ম্যাচে।