X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ফাইনালের সাতকাহন

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০১৮, ২০:০২আপডেট : ১৫ জুলাই ২০১৮, ২০:০৯

আজ পর্দা নামছে ২০১৮ বিশ্বকাপের। ৩২ দিনের ফুটবল যুদ্ধ থামছে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল দিয়ে। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বসছে ফুটবল মহাযজ্ঞের ২১তম ফাইনাল। আগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচগুলো কেমন ছিল, ট্রফি হাতে উল্লাস করেছিল কোন দল- এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজন।

১৯৩০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ১৯৩০ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: উরুগুয়ে

রানার্স-আপ: আর্জেন্টিনা।

ফল: উরুগুয়ে ৪-২ আর্জেন্টিনা

ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। স্বাগতিকরা ফাইনালেও উঠেছিল, প্রতিপক্ষ ছিল আর্জেন্টিনা। ‘অল লাতিন’ ফাইনালের প্রথমার্ধ জমজমাট হলেও শেষ পর্যন্ত উরুগুয়ে ৪-২ গোলের জয়ে মুঠোবন্দী করে বিশ্বকাপ ট্রফি।

১২ মিনিটে পাবলো দোরাদোর গোলে এগিয়ে গিয়ে ফেভারিটের মতো শুরু করে উরুগুয়ে। যদিও মিনিট আটেক পরই সমতায় ফিরে খেলা জমিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। এমনকি ৩৭ মিনিটে আলবিসেলেস্তেরা লিডও নিয়েছিল গুইলারমো স্তাবিলের লক্ষ্যভেদে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এসে উরুগুয়ে দাঁড়াতেই দেয়নি আর্জেন্টিনাকে। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান ২-২ করার পর ৬৮ ও ৮৯ মিনিটে আরও দুই গোল করে শিরোপা উৎসব করে উরুগুয়ে।

দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালি ১৯৩৪ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ইতালি

রানার্স-আপ: চেকোস্লোভাকিয়া

ফল: ইতালি ২-১ চেকোস্লোভাকিয়া (অতিরিক্ত সময়)

ফাইনাল: রোমের স্তাদিও নাসিওনালের ফাইনাল হয়েছিল জমজমাট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিক সমর্থকদের হতাশ করে ৭১ মিনিটে চেকোস্লোভাকিয়া এগিয়ে যায় আন্তোনিন পুচের লক্ষ্যভেদে। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৯ মিনিট আগে ইতালিকে সমতায় ফেরান রাইমুন্দো অরসি। যাতে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৫ মিনিটে আনহেলো শিয়াভিও জাল খুঁজে পেলে বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মাতে ইতালি।

টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতল ইতালি ১৯৩৮ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ইতালি

রানার্স-আপ: হাঙ্গেরি

ফল: ইতালি ৪-২ হাঙ্গেরি

ফাইনাল: সেমিফাইনালে গোলোৎসব করা হাঙ্গেরি ফাইনালে ধারাটা সচল রাখতে পারেনি। প্যারিসের উত্তেজনাকর ফাইনাল ইতালি জিতে নেয় ৪-২ গোলে। লুইজি কোলাসিগ ও সিলভিও পিওলার জোড়া লক্ষ্যভেদে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতার উল্লাসে মাতে আজ্জুরিরা।

শুরুটা হয়েছিল জমজমাট ৬ মিনিটে কোলাসিগের গোলে ইতালি এগিয়ে গেলেও দুই মিনিট পরই হাঙ্গেরি সমতায় ফেরে তিকোসের লক্ষ্যভেদে। যদিও কোলাসিগের দ্বিতীয় গোল ও পিওলার প্রথম লক্ষ্যভেদে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আজ্জুরিরা। এরপর ৭০ মিনিটে সারোসির গোলে হাঙ্গেরি খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দিলেও পিওলার দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে পেলে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব জয়ের উল্লাতে মাতে ইতালি।

বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বকাপের প্রত্যাবর্তনে চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ১৯৫০ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: উরুগুয়ে

রানার্স-আপ: ব্রাজিল

ফল: উরুগুয়ে ২-১ ব্রাজিল

ফাইনাল: এটাই একমাত্র আসর, যেখানে এক ম্যাচের ফাইনাল খেলা হয়নি। চার দলের চূড়ান্ত পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছিল ব্রাজিল, আর একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল উরুগুয়ে। তাই রিও ডি জেনেইরোতে শেষ দিন যখন তারা মুখোমুখি হয়েছিল, তখন সেটা মর্যাদা পেয়েছিল ‘অলিখিত’ ফাইনালের। ওই ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রথম বিশ্বকাপের বিজয়ী উরুগুয়ে। ১১ মিনিট বাকি থাকতে ঘিগিয়ার লক্ষ্যভেদী শটে মারাকানায় উপস্থিত হাজার হাজার ব্রাজিলিয়ানের হৃদয়ে শুরু হয় রক্তক্ষরণ।

জার্মানরা প্রথমবার ঘরে তুললো বিশ্বকাপ ১৯৫৪ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: পশ্চিম জার্মানি

রানার্স-আপ: হাঙ্গেরি

ফল: পশ্চিম জার্মানি ৩-২ হাঙ্গোরি

ফাইনাল: গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল হাঙ্গেরি। ফেরেঙ্ক পুসকাস ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। তাছাড়া গ্রুপ পর্বে যেহেতু জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছিল, তাই বিশ্বকাপ হাঙ্গেরির ঘরে যাচ্ছে বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিয়ে শিরোপা উৎসব করে পশ্চিম জার্মানি।

পুসকাসের গোলে ষষ্ঠ মিনিটে হাঙ্গেরি এগিয়ে গেলে ফেভারিটের মতোই শুরু করে তারা। মিনিট দুয়েক পর জোল্তান সিজিবোর জাল খুঁজে পেলে বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের হাতে দেখছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু ১০ মিনিটে মাক্সিমিলান মোরলকের লক্ষ্যভেদের পর হেলমাট রানের ১৮ মিনিটের গোলে ২-২-এ সমতায় ফেরে পশ্চিম জার্মানি। এরপর ৮৪ মিনিটে রানের দ্বিতীয় লক্ষ্যভেদে ৩-২ গোলের নাটকীয় জয়ে প্রথম শিরোপা উৎসবে মাতে জার্মানরা।

পেলের ব্রাজিল প্রথমবার হলো চ্যাম্পিয়ন ১৯৫৮ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ব্রাজিল

রানার্স-আপ: সুইডেন

ফল: ব্রাজিল ৫-২ সুইডেন

ফাইনাল: সেমিফাইনালে পেলের হ্যাটট্রিকে ফ্রান্সকে সহজেই হারায় ব্রাজিল। ৫-২ গোলের জয়ে প্রথম শিরোপা জেতার সুযোগ তৈরি হয় সেলেসাওদের সামনে। অন্য সেমিফাইনালে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানিকে ৩-১ গোলে হারায় সুইডেন। স্বাগতিক বলে সুইডেনের সামনেও সুযোগ ছিল প্রথম বিশ্বকাপ জেতার।

তবে তা হয়নি। নক আউট পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তরুণ পেলের সামনে উড়ে যায় সুইডেন। চতুর্থ মিনিটে তারা এগিয়ে গেলেও ব্রাজিল ঘুরে দাঁড়ায় নবম মিনিটেই। ভাবার জোড়া লক্ষ্যভেদের সঙ্গে পেলের জোড়া গোলে প্রথমবার বিশ্ব জয়ের আনন্দে মাতে সাম্বার দেশ। একই সঙ্গে ১৯৫০ সালের মারাকানোজোর দুঃখে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারে তারা।

টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ব্রাজিলের ১৯৬২ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ব্রাজিল

রানার্স-আপ: চেকোস্লোভাকিয়া

ফল: ব্রাজিল ৩-১ চোকোস্লোভাকিয়া

টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ তৈরি হয় ব্রাজিলের। অন্যদিকে চেকোস্লোভিকায় সামনে প্রথম বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি। ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের দুঃখ ভোলার মিশনে নামলেও চেকোস্লোভাকিয়া আরেকবার হতাশ হয়ে ছাড়ে মাঠ। বিপরীতে ৩-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার উল্লাসে মাতে ব্রাজিল।

অথচ ১৫তম মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল চেকোস্লোভাকিয়াই। জোসেফ মাসোপুস্তের লক্ষ্যভেদের দুই মিনিট পরই সেলেসাওদের সমতায় ফেরান আমারিলদো। এরপর ৬৯ মিনিটে জিল্তোর গোলের পর ৭৮ মিনিটে ভাভার গোলে শিরোপা উৎসবে মাতে ব্রাজিল।

সবাইকে চমকে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ১৯৬৬ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ইংল্যান্ড

রানার্স-আপ: পশ্চিম জার্মানি

ফল: ইংল্যান্ড ৪-২ পশ্চিম জার্মানি (অতিরিক্ত সময়)

বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনাল মঞ্চায়িত হয়েছিল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। উত্তেজনার সব রসদ জমা
ছিল ৯৬ হাজারের উপরে উপস্থিত হওয়া ফাইনালে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের শিরোপা উৎসব যখন শুরু হয়ে গেছে, তখনই উলফগাং ওয়েবারের গোলে স্তব্দ ওয়েম্বলি। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট খানেক আগে তার লক্ষ্যভেদেই সমতায় ফেরে পশ্চিম জার্মানি।

তবে ফুটবল দেবতা নিরাশ করেননি ইংলিশদের। জিওফ হার্স্টের হ্যাটট্রিকে শিরোপা উৎসব করে ইংল্যান্ড। হেলমাট হালেরের গোলে ১২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল পশ্চিম জার্মানি। তবে ১৮ মিনিটেই ‘থ্রি লায়ন্স’ সমতায় ফেরে হার্স্টের প্রথম লক্ষ্যভেদে। এরপর ৭৮ মিনিটে মার্টিন পিটার্সের গোলে যখন শিরোপার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল ইংলিশরা, তখনই ওয়েবারের গোলে স্বাগতিকদের মাথায় হাত।

শেষমেষ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ১০১ ও ১২০ মিনিটে দুই গোল করে হার্স্ট হ্যাটট্রিক পূরণ করলে উত্তেজনাকর ফাইনাল জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।

পেলে জিতলেন তৃতীয় শিরোপা ১৯৭০ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ব্রাজিল

রানার্স-আপ: ইতালি

ফল: ব্রাজিল ৪-১ ইতালি

ফাইনালে ইতালি দাঁড়াতেই পারেনি পেলের ব্রাজিলের সামনে। আজ্জুরিদের ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করে সাম্বার দেশ। ১৮ মিনিটে পেলের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল, তবে ৩৭ মিনিটে রবের্তো বোনিনসেগনা জাল খুঁজে পেলে সমতায় ফেরে ইতালি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল ঝড়ে তছতছ হয়ে যায় তারা। ৬৬ মিনিটে গেরসন, ৭১ মিনিটে জাইরজিনহো ও ৮৬ মিনিটে কার্লোস আলবার্তোর লক্ষ্যভেদে ৪-১ গোলের জয়ে মেক্সিকোতে ওড়ে ব্রাজিলের পতাকা।

জার্মানরা পুনরুদ্ধার করলো শ্রেষ্ঠত্ব ১৯৭৪ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: পশ্চিম জার্মানি

রানার্স-আপ: নেদারল্যান্ডস

ফল: পশ্চিম জার্মানি ২-১ নেদারল্যান্ডস

রাইনাস মিশেলের অধীনে নেদারল্যান্ডস ছিল দুর্দান্ত এক দল। বিপরীতে ঘরের মাঠ হওয়ায় পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে ছিল সমর্থকরা। ফুটবল বিশ্বের জন্য অপেক্ষা করছিল তাই উত্তেজনাকর ফাইনাল। জার্মানদের ঘরের মাঠ হলেও ফাইনালে ফেভারিট ছিল ডাচরা। তার প্রমাণও পাওয়া যায় ম্যাচ শুরুর বাঁশি থেকে। প্রথম মিনিটেই একক প্রচেষ্টায় ক্রুইফ ঢুকে পড়েছিলেন জার্মান বক্সে, তাকে আটকাতে গিয়ে উলি হোয়েন্স ফেলে দিলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ঠাণ্ডা মাথায় স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে নেন ইয়োহান নেসকেন্স।

ঘরের মাঠে জার্মানদের স্তব্দতা ভাঙে ২৫ মিনিটে, যখন রেফারি বিতর্কিত পেনাল্টি উপহার দেন পশ্চিম জার্মানিকে। স্পট কিক থেকে গোল করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান পল ব্রিটনার। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগে উল্টো জার্মানরাই এগিয়ে যায় গার্ড ম্যুলারের লক্ষ্যভেদে। ৪৩ মিনিটে দেওয়া ওই গোলটাই দ্বিতীয় শিরোপা এনে দেয় পশ্চিম জার্মানিকে।

আর্জেন্টিনা প্রথম ট্রফি নিলো হাতে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা

রানার্স-আপ: নেদারল্যান্ডস

ফল: আর্জেন্টিনা ৩-১ নেদারল্যান্ডস (অতিরিক্ত সময়)

আগের বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফাইনাল হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় নেদারল্যান্ডসের। ১৯৭৮ সালে তাই আবারও আশায় বুক বাঁধে ডাচরা। যদিও বুয়েনস এইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্তালে আরেকটি হতাশার অধ্যায় যোগ হয় তাদের ইতিহাসে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনাল আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে জিতে নিয়ে প্রথমবারের মতো করে শিরোপা উদযাপন।

মারিও কেম্পেসের লক্ষ্যভেদে ৩৮ মিনিটে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ওই গোলেই শিরোপার স্বপ্ন উজ্জ্বল হয়েছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু ৮২ মিনিটে ডিক নানিঙ্গা জাল খুঁজে পেলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। নির্ধারিত সময় ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আর্জেন্টিনা আরও দুই গোল করে ৩-১ ব্যবধানে জেতে বিশ্বকাপ।

দুর্দান্ত কেম্পেস ১০৫ মিনিটে করেন নিজের ও দলে হয়ে দ্বিতীয় গোল। আর ১১৫ মিনিটে ডাচদের স্বপ্ন ধুলোয় মিশিয়ে দেন দানিয়েল বেরতোনি লক্ষ্যভেদ করে।

ইতালি তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ১৯৮২ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ইতালি

রানার্স-আপ: পশ্চিম জার্মানি

স্কোর: ইতালি ৩-১ জার্মানি

মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামের ফাইনালে হয়েছে একপেশে। ইতালির দাপুটে ফুটবলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি পশ্চিম জার্মানি। প্রথমার্ধ পর্যন্ত আজ্জুরিদের আটকে রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের ঝড় আর থামাতে পারেনি জার্মানরা। ফল, ৩-১ গোলের জয়ে ইতালির ঘরে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা।

মাদ্রিদে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৭ মিনিটে ইতালিকে এগিয়ে নেন পাওলো রসি। এরপর ৬৯ মিনিটে ব্যবধারন দ্বিগুণ করেন মার্কো তারদেল্লি। আর ৮১ মিনিটে আলেসান্দ্রো আলতোবেল্লি জাল খুঁজে পেলে ইতালির বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলাটা হয়ে দাঁড়ায় সময়ের অপেক্ষা। ৮৩ মিনিটে পশ্চিম জার্মানি সান্ত্বনাসূচক এক গোল করলেও ইতালির বিশ্ব জেতার উল্লাসে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

ম্যারাডোনা পেলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ ১৯৮৬ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা

রানার্স-আপ: পশ্চিম জার্মানি

ফল: আর্জেন্টিনা ৩-২ পশ্চিম জার্মানি

ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনাল মঞ্চায়িত হয়েছিল মেক্সিকো সিটির এস্তাদিও আজতেকায়। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পারেনি পশ্চিম জার্মানি। জার্মানদের ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে লাতিন আমেরিকার দেশটি।

ম্যারাডোনা গোল না পেলেও ছিলেন উজ্জ্বল। মাত্র নবম মিনিটেই আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় হোসে লুইস ব্রাউনের লক্ষ্যভেদে। ওই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যাওয়া আলবিসেলেস্তেরা ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৫৫ মিনিটে হোর্হে ভালদানো জাল খুঁজে পেলে। জার্মানদের আশা শেষই গিয়েছিল বলে ভাবা হয়েছিল। তবে ৭৪ মিনিটে কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগের পর ৮০ মিনিটে রুদি ফলারের গোলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু ৮৩ মিনিটে হোর্হে বুরুচাগার গোলে শিরোপা উৎসব করে আর্জেন্টিনা।

পশ্চিম জার্মানি চ্যাম্পিয়ন ১৯৯০ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: পশ্চিম জার্মানি

রানার্স-আপ: আর্জেন্টিনা

ফল: পশ্চিম জার্মানি ১-০ আর্জেন্টিনা

জার্মানদের সামনে ছিল আগের বিশ্বকাপের যন্ত্রণা দূর করে প্রতিশোধের পর্ব সেরে নেওয়ার সুযোগ, অন্যদিকে আর্জেন্টিনার সামনে ছিল নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার। কিন্তু ১০ জনের দল নিয়ে এবার আর পারেনি ম্যারাডোনারা। ৬৫ মিনিটে জার্মানির ইয়ুর্গেন কিন্সমানকে ফাউল করা পেদ্রো মোনজোন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে আর্জেন্টিনা পরিণত হয় ১০ জনের দলে।

নিষেধাজ্ঞা ও ইনজুরিতে দুর্বল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েছে জার্মানরা। তবে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের ৮৫ মিনিট পর্যন্ত, যখন মেক্সিকান রেফারি এদগার্দো কোদেসাল পশ্চিম জার্মানির পক্ষে বাজান পেনাল্টির বাঁশি। সুবর্ণ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন আন্দ্রেস ব্রেহমি। গোল হজমের পরপরই গুস্তাভো দিজোত্তি লাল কার্ড দেখলে আর্জেন্টিনা খেলা থেকে একেবারেই ছিটকে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ জনের আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে পশ্চিম জার্মানি তৃতীয়বারের মতো ঘরে তোলে বিশ্বকাপ।

দুঙ্গার ব্রাজিল হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ১৯৯৪ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ব্রাজিল

রানার্স-আপ: ইতালি

ফল: ব্রাজিল ০(৩)-০(২) ইতালি

রোজ বোল স্টেডিয়ামে ৯৪ হাজার দর্শকের সামনে চতুর্থ বিশ্বকাপ উদযাপন করে ব্রাজিল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ব্রাজিল ও ইতালি কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ফল নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানে ৩-২ গোলের জয়ে বিশ্ব জয়ের উল্লাতে মাতে সাম্বার দেশ।

ইতালির হয়ে প্রথম শট লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন ফ্রাঙ্কো বারেসি। ব্রাজিলের নেওয়া প্রথম শটটিও মিস করেন মার্চিও সান্তোস। তবে রোমারিও, ব্রাঙ্কো ও দুঙ্গা- পরের তিন শটে লক্ষ্যভেদ করায় ব্রাজিলের হাতেই ওঠে বিশ্বকাপ। ইতালির নেওয়া পাঁচ শটের তিনটিই ব্যর্থ, গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ব্যাজিও পারেনি শেষ শটটি জালে জড়াতে। তাই দুঙ্গার স্পট কিক জালে জড়াতেই আনন্দে মাতোয়ারা ব্রাজিলিয়ানরা।

জিদানের দল ব্রাজিলকে হারিয়ে হলো চ্যাম্পিয়ন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ফ্রান্স

রানার্স-আপ: ব্রাজিল

ফল: ফ্রান্স ৩-০ ব্রাজিল

স্তাদে দে ফ্রান্সের ফাইনালে ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। ফ্রান্স স্বাগতিক হলেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পারফরম্যান্সে এগিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের। কিন্তু মাঠের ফুটবলে দেখা মেলে অন্য কিছুর। জিনেদিন জিদানের জাদুতে ফরাসিরা দাঁড়াতেই দেয়নি সেলেসাওদের। তাদের ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্ব জয়ের আনন্দে মাতে ফ্রান্স।

জুভেন্টাসে চমৎকার এক মৌসুম কাটিয়ে বিশ্বকাপে নেমেছিলেন জিদান। ফ্রান্সের এগিয়ে চলার পথে অবদান রাখলেও গোটা টুর্নামেন্টে একবারের জন্যও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি। ‘বড় মঞ্চের তারকা’ আসল জায়গাতেই জ্বলে উঠলেন। প্রথমার্ধেই জোড়া লক্ষ্যভেদ করে ব্রাজিলকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকে। ২৭ মিনিটের পর প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে পান তিনি। আর দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে এমানুয়েল পেতিতের গোলে ব্রাজিলের কফিনে শেষ পেরেকটি মেরে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে মাতে ফ্রান্স।

পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ২০০২ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ব্রাজিল

রানার্স-আপ: জার্মানি

ফল: ব্রাজিল ২-০ জার্মানি

টানা তৃতীয়বার ফাইনালে ওঠে ব্রাজিল। ১৯৯৪ সালের আসরে শিরোপা উৎসব করলেও ১৯৯৮ সালের ফ্রান্সের টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে হেরে হতাশায় শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপ। জাপানের ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে চার বছর আগের সেই হতাশা দূর করার সুযোগ সামনে আসে ব্রাজিলের। রোনালদোর জোড়া লক্ষ্যভেদে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সুযোগটা দারুণভেোব কাজে লাগায় লাতিন আমেরিকার দেশটি। ৬৭ মিনিটে প্রথমবার জাল খুঁজে পাওয়া রোনালদো ৭৯ মিনিটে করেন নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল। যাতে জার্মানদের হারিয়ে ব্রাজিল ঘরে তোলে পঞ্চম বিশ্বকাপ।

ইতালি ঘরে নিলো চতুর্থ ট্রফি ২০০৬ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: ইতালি

রানার্স-আপ: ফ্রান্স

ফল: ইতালি ১(৫)-১(৩) ফ্রান্স

বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম উত্তেজনা ছড়ানো ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স-ইতালি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচটি ৫-৩ ব্যবধানে জিতে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলে ইতালি।

বার্লিনের ফাইনালের ম্যাচ জুড়ে ছিল দুটি নাম- জিনেদিন জিদান ও মার্কো মাতেরাজ্জি। দুজনই করেন লক্ষ্যভেদ, আবার দুজনই জড়ান বিতর্কে। মাতেরাজ্জির সঙ্গে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে জিদানের মাথা দিতে গুঁতা মারার ঘটনা কারও অজানা থাকার কথা নয়। আঘাতে মাটিতে পড়ে যান মাতেরাজ্জি, আর সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জিদানকে।

জিদানের পেনাল্টি গোলে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা স্পট কিকটি আবার পেয়েছিল মাতেরাজ্জির ভুলে। ইতালিয়ান ডিফেন্ডার প্রায়শ্চিত্ত করেন ১৯তম মিনিটে আজ্জুরিদের সমতায় ফিরিয়ে। আন্দ্রেয়া পিয়েরলোর কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর দুদলই সুযোগ তৈরি করে অনেক, যদিও কাজে লাগাতে পারেনি। গোলে বেশি শট করার পরিসংখ্যানে ফ্রান্সই ছিল জয়ের দাবিদার। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ১১০ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে জিদান লাল কার্ড দেখলে বিশ্বকাপ হাত ফসকে যায় ফ্রান্সের কাছ থেকে।

১১০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে জিদান মাঠ ছাড়ার পরও ১-১ সমতায় রেখে অতিরিক্ত সময় শেষ করে ফ্রান্স। কিন্তু টাইব্রেকারে আর পারেনি ইতালির বিপক্ষে। আজ্জুরিদের নেওয়া পাঁচ স্পট কিকের সবই জালে জড়ান তাদের খেলোয়াড়রা। বিপরীতে ফ্রান্সের নেওয়া দ্বিতীয় স্পট কিকটি মিস করেন দাভিদ ত্রেজেগে। যাতে ফ্রান্সের হয় স্বপ্নভঙ্গ, বিপরীতে ইতালি মাতে চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে।

ইউরোর পর বিশ্ব আসরেও স্পেনের শ্রেষ্ঠত্ব ২০১০ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: স্পেন

রানার্স-আপ: নেদারল্যান্ডস

ফল: স্পেন ১-০ নেদারল্যান্ডস (অতিরিক্ত সময়)

জোনানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামে ওড়ে স্পেনের বিজয় কেতন। প্রথমবার বিশ্বকাপে উঠেই শিরোপা ঘরে তোলে স্প্যানিশরা। তাদের এই সাফল্যের রূপকার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালের ১১৬ মিনিটের গোল করে বার্সেলোনা তারকা নিশ্চিত করেন স্পেনের বিশ্বকাপ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালের ৫৭ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখা জন হেটিনগা ১০৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সঙ্গে দেখেন লাল কার্ড। ১০ জনের ডাচদের বিপক্ষে গোল করতে উঠেপড়ে লাগে স্পেন। শেষমেষ ১১৬ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১১৬ মিনিটে ইনিয়েস্তার গোলে বিশ্ব জয়ের আনন্দে মাতে ‘লা রোহারা’।

আর্জেন্টিনাকে দুঃখে ভাসিয়ে জার্মানি জিতলো বিশ্বকাপ ২০১৪ বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন: জার্মানি

রানার্স-আপ: আর্জেন্টিনা

ফল: জার্মানি ১-০ আর্জেন্টিনা (অতিরিক্ত সময়)

দুই যুগ পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নপূরণটা তখন ‘হাতছোঁয়া’ দূরত্বে। ওদিকে দুই যুগ পর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নটা উঁকি দিচ্ছিল জার্মানদের মনেও। দুই জার্মানি এক হওয়ার পর কখনও শিরোপা জেতা হয়নি যে তাদের।

ফুটবল দেবতা জার্মানদেরই দিলেন দু’হাত ভরে। ‘সুপার-সাব’ মারিও গোৎসের গোলে চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে জার্মানি। বিপরীতে আরেকবার ফাইনালে হারের স্বপ্নভঙ্গে স্তব্দ আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালের ইতালির বিশ্বকাপেও আলবিসেলেস্তেরা শিরোপা হারিয়েছিল এই জার্মানদের বিপক্ষেই।

মানুয়েল নয়ারের সঙ্গে গনসালো হিগুয়েইনের ওয়ান টু ওয়ান মিস কিংবা মেসির শট সেকেন্ড বার দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় আক্ষেপের আগুনেই পুড়তে হয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। বিপরীতে পুরো ৯০ মিনিটে খুব কমই সুযোগ পাওয়া জার্মানি অতিরিক্ত সময়ের গোলে করে শিরোপা উদযাপন।

মারাকানার ফাইনালের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। অতিরিক্ত সময়েও কোনও পক্ষ গোল করতে পারছিল না, ১১২ মিনিট পর্যন্তও স্কোরলাইন ছিল ০-০। কিন্তু পরের মিনিটেই গোৎসের সেই ভলি। আন্ড্রে শুর্লের ক্রস প্রথমে বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন ৮৮ মিনিটে বদলি হয়ে নামা গোৎসে। যাতে জার্মানি জেতে চতুর্থ শিরোপা, আর আর্জেন্টিনার স্বপ্নভঙ্গ।

/কেআর/
সম্পর্কিত
অবাধ্য সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রাশিয়া: হোয়াইট হাউজ
চিলির হারে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপের সব উপার্জন দান করবেন এমবাপে!
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের ভেন্যু চূড়ান্ত
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের ভেন্যু চূড়ান্ত
ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি, মিয়ানমারে ফেরত যাবেন ২৮৮ জন
ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি, মিয়ানমারে ফেরত যাবেন ২৮৮ জন
দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
দক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে বিশ্বমানের জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
সর্বাধিক পঠিত
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?