X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

পিএইচডি করেও অ্যাথলেটিকস কোচের আক্ষেপ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ জুলাই ২০১৮, ২০:২৩আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৮, ২০:২৬

চীনের বেইজিং স্পোর্ট ইউনিভিার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন মেহেদী হাসান ২০০৩ সাল থেকে বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ মেহেদী হাসান। সম্প্রতি চীন থেকে নিয়ে এসেছেন পিএইডি ডিগ্রি। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত অ্যাথলেটিকস কোচ।

গত মাসে বেইজিং স্পোর্ট ইউনিভিার্সিটি থেকে সম্মানজনক এই ডিগ্রি পাওয়া মেহেদীর বিষয় ছিল ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস ট্রেনিং। তবে পিএইচডি করেও তিনি হতাশ! জাতীয় পর্যায়ে যে কাজ করার তেমন সুযোগ নেই। বেশ আক্ষেপ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে তাই বললেন, ‘বিকেএসপিতে কাজ করার সুযোগ থাকলেও সেটা একটা পর্যায় পর্যন্ত। তারপর অ্যাথলেটদের সেভাবে শেখানোর সুযোগ নেই। আমাদের তো কোনও সিস্টেমই দাঁড়ায়নি।’

চীনের একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া মেহেদীর গবেষণার বিষয় ছিল বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকসের স্প্রিন্ট, জাম্প এবং হার্ডলস। চীন সরকারের তিন বছরের বৃত্তি পেয়েছিলেন তিনি।

এশীয় পর্যায়ে তো বটেই, সাফ অঞ্চলেও দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। যা নিয়ে মেহেদী ভীষণ হতাশ, ‘এক সময় সাফ অঞ্চলে আমাদের অ্যাথলেটিকসের সুনাম ছিল। শাহ আলম, মবিন, মাহবুব, বিমল সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের অ্যাথলেটদের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। আমাদের সব কিছুই তো দায়সারাভাবে হয়।’

দীর্ঘ দিন ধরে জড়িয়ে আছেন বিকেসপির সঙ্গে। এখন জাতীয় পর্যায়ে কাজ করতে চান তিনি, ‘আমার কাজের ক্ষেত্র বিকেএসপি। তবে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন দায়িত্ব দিলে আমি জাতীয় পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। ঠিকমতো প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের অ্যাথলেটদের পক্ষে ভালো পারফর্ম করা সম্ভব। কিন্তু ফেডারেশন না চাইলে দেশের জন্য কীভাবে কাজ করবো?’ 

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের আয়োজনে বছরে তিনটি প্রতিযোগিতাই অ্যাথলেটদের সম্বল। যে কারণে মেহেদী বেশ ক্ষুব্ধ, ‘সব কিছু ঠিকভাবে চললে আমাদের এত দুর্দশা হতো না। ফেডারেশন কী করছে? তারা কখনও জাতীয় দলের প্রতি সেভাবে দৃষ্টি দিয়েছে? নাম মাত্র অনুশীলন করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটদের অংশ নিতে হয়। ভালো কোচ কিংবা সুযোগ-সুবিধাও তারা পায় না।’

মেহেদীর অভিযোগ অস্বীকার করেননি অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ খান চৌধুরী। তিনি জানালেন, আর্থিক সমস্যাই দেশের অ্যাথলেটিকস দুর্দশার প্রধান কারণ। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন,  ‘ইচ্ছে থাকলেও আমরা সারা বছর ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালাতে পারি না।  বিদেশি কোচ আনতে অনেক টাকা লাগে। অ্যাথলেটদের আবাসিক ক্যাম্প আয়োজন করতেও টাকা প্রয়োজন। মূলত আর্থিক সমস্যার কারণে আমরা বেশি কিছু করতে পারছি না।’

/টিএ/এএআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’