X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রঙিন আলোতেও অন্ধকার মাশরাফিদের মুখ

রবিউল ইসলাম, দুবাই থেকে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০১আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:১২

এমন চিত্র ফুটে উঠেছে দুবাইয়ে। ফাইনালের পর পর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কিছুক্ষণের জন্য আতশবাজির রঙিন আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে। সেই আলোতে মাশরাফিদের মুখটা অন্ধকার হয়েই থাকলো। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে এশিয়া কাপের শিরোপা খোয়ালো বাংলাদেশ। চলতি বছর তিন ফাইনালের একটিও জিততে পারেনি মাশরাফিরা। ফাইনাল মানেই যেন টাইগার ভক্তদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। আরও একবার শোকে আচ্ছন্ন গোটা দেশ। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে হারলো বাংলাদেশ।

হারের পর ওই অন্ধকার মুখ নিয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে গোটা দল। সবার মুখ যেন ভাষাহীন। নির্বাক শ্রোতা হয়ে অনুষ্ঠান স্থলে দাঁড়িয়ে কাজ সমাধান করা মাত্র। এমন হারের বেদনা সহজে যে ভুলবার নয়। গোটা বাংলাদেশও মাশরাফিদের মতোই নির্বাক হয়ে আছে। তিন পেসারের ওভার শেষ হয়ে যাওয়াতে মাহমুদউল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যদিও মাশরাফি প্রথমে সৌম্যকে বল দিতে যাচ্ছিলেন। কী মনে করে আবার অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর হাতেই বল তুলে দেন। ওই মুহূর্তে তার দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলাদেশ। আধুনিক ক্রিকেটে ৬ বলে ৬ রান কঠিন কোন লক্ষ্য নয়। তারপরও মাহমুদউল্লাহ শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যান।

মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওখানেই মূলত পিছিয়ে পড়া। মাশরাফি কৌশল করে মেহেদীকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে ১২০ রানের জুটি বের করলেও শেষ পর্যন্ত পুরো মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচ ট্রফি হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচটিতে শেষ ওভারে ১২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সৌম্যর শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেন দিনেশ কার্তিক। ওই ম্যাচের পর সৌম্য পিচে মুখ লুকিয়ে কাঁদিয়েছিলেন গোটা দেশকে।

তবে শুক্রবার কাঁদলেন না কোনও ক্রিকেটার। কাঁদবেনই বা কেন? ভাঙাচোড়া দল নিয়েও ফাইনালে ভারতেকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর মাশরাফিরা বীরের মর্যাদা পেতে পারেন। অধিনায়ক মাশরাফি কাঁদলেন না ঠিকই, তবে বুকের ভেতরের যন্ত্রনাতো নেভাতে পারছেন না। ২০১২, ২০১৬ পর ২০১৮ সালেও পারলো না বাংলাদেশ। তাই আর দুবাই স্টেডিয়াম যখন আতশবাজির রঙিন আলোতে আলোকিত, তখন সেই আলোয় রঙিন হতে পারলেন না মাশরাফিরা। বুকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনের এশিয়া কাপে হয়তো সব হিসেব নিকেশ চুকাবেন!

২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিন সাকিব-মুশফিকের কান্নায় ভেসে যায় গোটা দেশ। পাকিস্তানকে ৫০ ওভারের ম্যাচে ২৩৬ রানেই থামিয়ে দিয়েছিল সাকিবরা। কিন্তু সাকিবের ৬৮ ও তামিমের ৬০ রানের পরও লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহ লড়াই করলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি। সেই ক্ষত এখনও রয়ে গেছে কোটি ক্রিকেট-ভক্তের হৃদয়ে।

এর চার বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে ২০ ওভারের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে হেরে যেতে হয় তাদের। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা ১৫ ওভারে ১২০ রান তোলে। জবাবে ভারত ৭ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের সহজ জয় পায়। তাতে আবারও ফাইনালে হারের বেদনায় নীল বাংলাদেশ।

হারের পর শনিবারই বিকালের ফ্লাইটে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। কিন্তু এই হারের ক্ষতে কি সহজে প্রলেপ দিতে পারবে মাশরাফিরা? হয়তো অদূর ভবিষ্যতে মাশরাফি কেবল এশিয়া কাপ নয়, বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে সেই ক্ষতে প্রলেপ দেবেন!

 

/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!