‘মিথ্যা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না’- ছয় বছর পর এই অনুশোচনা জেগেছে পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার মনে। এতদিন দায় এড়িয়ে গেলেও তাই স্বীকার করলেন সাবেক এসেক্স সতীর্থ মারভিন ওয়েস্টফিল্ডকে স্পট ফিক্সিংয়ে প্ররোচিত করেছেন তিনি।
২০০৯ সালে ইংলিশ কাউন্টিতে ৪০ ওভারের ম্যাচে অর্থের বিনিময়ে এক ওভারে নির্দিষ্ট কয়েকটি রান দিয়েছিলেন ওয়েস্টফিল্ড। ডারহামে ওই ঘটনায় দোষ স্বীকারের চার মাস পর কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। আর টাকা নিতে প্ররোচিত করায় ২০১২ সালের জুনে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আজীবন নিষিদ্ধ করে কানেরিয়াকে।
৬১ টেস্ট খেলে ২৬১ উইকেট নিয়ে এখনও পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল স্পিনারের আসনটি ধরে রেখেছেন কানেরিয়া। সবশেষ দেশের জার্সিতে খেলেছেন ২০১০ সালে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে। কাউন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা বারবার প্রত্যাখ্যান করলেও আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দোষ স্বীকার করলেন।
৩৭ বছর বয়সী এই সাবেক স্পিনার বলেন, ‘আমার নাম দানিশ কানেরিয়া। আমার বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের আরোপিত দুটি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করছি আমি। আমি দোষী ছিলাম। এখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট শক্ত আমি হয়েছি, কারণ মিথ্যা নিয়ে আপনি জীবনে বাঁচতে পারেন না।’
ওয়েস্টফিল্ডের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন কানেরিয়া, ‘আমি মারভিন ওয়েস্টফিল্ডের কাছে ক্ষমা চাই; আমার সাবেক সতীর্থ, এসেক্স ক্রিকেট ক্লাব, এসেক্স ভক্তদের কাছেও। পাকিস্তানের কাছেও দুঃখ প্রকাশ করছি।’ ওয়েস্টফিল্ড সাবেক সতীর্থের দুঃখ প্রকাশের পর ডেইলি মেইলকে বলেছেন, ‘স্পট ফিক্সিংয়ের এই অধ্যায় আমার পুরো জীবন পাল্টে দিয়েছে। কিন্তু আমার এই ভয়ানক ভুলের জন্য আমি কখনও কাউকে দোষ দেইনি।’
স্পট ফিক্সিংয়ের মতো কাণ্ডে জড়িয়ে না পড়তে তরুণদের সতর্ক করলেন সাবেক স্পিনার, ‘যদি ইসিবি ও আইসিসি এবং অন্য সংস্থা আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয় তাহলে আমি ক্রিকেটে তরুণদের শিক্ষা দিতে চাই। তাদের শেখাতে চাই যদি ভুল করো তাহলে আমার মতো শেষ হয়ে যাবে।’ রয়টার্স, ক্রিকইনফো