বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে ১২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চাপে রয়েছে রাজশাহী কিংস। ১০ ওভারে তারা সংগ্রহ করেছে ৫ উইকেটে ৫০ রান।
লো স্কোরিং ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পেরেছে খুলনার বোলিং লাইন আপ। জুনায়েদের প্রথম ওভারে আসে সাফল্য। ওপেনার ইভান্সকে থিতু হওয়ার আগে তাইজুলের ক্যাচ বানান পাকিস্তানি এই পেসার। ওয়ান ডাউনে নামা রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ হাত খুলে মারবার চেষ্টা করেন কিছুক্ষণ। তাতে রানের চাকা সচল হলে পঞ্চম ওভারে আক্রমণে নিজেই আসেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল হককে। মুমিনুল আজকেও ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। ১১ বলে ৭ রানে ফেরেন তিনি।
রিয়াদ দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটালে পরের ওভারে জোড়া আঘাতে রাজশাহীকে চাপে ফেলে দেন তাইজুল। শুরুতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা মেহেদী মিরাজকে আরিফুলের ক্যাচ বানান। এক বল বিরতি দিয়ে নতুন নামা সৌম্যকেও সাজঘরের পথ দেখান। উইকেটকিপার জাকির হাসান নামলে মাহমুদউল্লাহ তাকে ব্র্যাথওয়েটের ক্যাচ বানিয়ে বিপদ বাড়িয়ে দেন রাজশাহীর। খুলনার মিতব্যয়ী বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে কোনও সুবিধাই নিতে পারেনি রাজশাহী।
বিপিএলে ঢাকা পর্বে একটিও জয়ের দেখা পায়নি খুলনা টাইটানস। শুরুতে টস জিতে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচ উপহার দেয় খুলনা। ব্যাটিং বান্ধব পিচে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও খুব বেশি বড় স্কোর করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহরা। ব্যাটসম্যানরা জ্বলে না ওঠায় তারা ৯ উইকেটে সংগ্রহ করে ১২৮ রান।
দুই ওপেনারের শুরুটা খুব বেশি উজ্জ্বল ছিলো না। ১ চার আর ১ ছক্কায় দ্বিতীয় ওভারে উদানার বলে ফিরে যান ওপেনার জুহুরুল। জুনায়েদ সিদ্দিকও বিদায় নেন একই ধারা মেনে। এক চার আর ১ ছক্কায় দলীয় ৩৭ রানে বিদায় নেন। আজকের ম্যাচে খেলতে নামা ডেভিড মালান নেমে দলের প্রত্যাশা পূরণে হন ব্যর্থ। ৯ বলে ফিরে যান ৬ রান করে। তাতে সিলেটের ব্যাটিং পিচে পাওয়ার প্লের খুব একটা ফায়দা নিতে পারেনি টাইটানস।
ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস না খেলার ব্যর্থতা বজায় ছিলো এরপরেও। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯ রানে ফিরে গেছেন আরাফাত সানির বলে ক্যাচ দিয়ে। শান্ত দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে বিদায় নেন রান আউটে।
বিপদে পড়ে যাওয়া খুলনার রানের চাকা সচল রাখতে দায়িত্ব পড়ে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ওপর। কিন্তু আরাফাত সানির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে তিনিও বিদায় নিয়েছেন মাত্র ৮ রান করে।
খুলনার ধীর গতির ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ স্কোরটা ছিলো শুধু আরিফুল হকের। ২৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন তিনি। ডেভিড উইজ তার আগে ফিরে যান ১৩ রানের মামুলি ইনিংস খেলে।
ব্যাটসম্যানরা লম্বা ইনিংস খেলতে না পারায় খুলনা শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান।
