X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফিল্ডিং দিয়েই যারা ম্যাচসেরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২১আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩১

জন্টি রোডসের কথা কে না জানে! চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং করেও যে ম্যাচ জেতানো সম্ভব, সেটা সবার মনে গেঁথে দিয়েছেন তিনি। অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিতে জুড়ি ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তির। শুধু ফিল্ডিং করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের কীর্তিও আছে তার।

রোডসের প্রসঙ্গ ওঠার কারণ, কয়েক দিন আগে তারই স্বদেশি ডেভিড মিলার গড়েছেন একই কীর্তি। গত ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে মাত্র ১০ রান করেও ম্যাচসেরা হয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত ফিল্ডিংই পুরস্কারটা এনে দিয়েছে তাকে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুধু ফিল্ডিংয়ের কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের মাত্র পঞ্চম উদাহরণ এটা। পাঁচ ‘কীর্তিমান’ ফিল্ডারের পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

গাস লোগি- ফিল্ডিংয়ের অসাধারণ নৈপুণ্যে ক্রিকেটের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ১. গাস লোগি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)-পাকিস্তান

আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য গাস লোগি এই ক্লাবের প্রথম সদস্য। ১৯৮৬ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের ৯ উইকেটের সহজ জয়ে ফিল্ডার হিসেবে বিশাল ভূমিকা ছিল তার। শারজার সেই ম্যাচে তিনটি চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি দুটি রান আউট করেছিলেন লোগি। বিশেষ করে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদকে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। সেদিন দুর্দান্ত বল করে পাকিস্তানকে ১৪৩ রানে অলআউট করতে বড় ভূমিকা রাখলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিততে পারেননি কোর্টনি ওয়ালশ (৪/৩১)। ফিল্ডিংয়ে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে পুরস্কারটা পেয়েছিলেন লোগি, যদিও ব্যাট করার সুযোগই পাননি তিনি।

ভিভ রিচার্ডস। ২. ভিভ রিচার্ডস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)-ভারত

ভিভ রিচার্ডসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কথা তো সবারই জানা। কিন্তু ১৯৮৯ সালে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে নয়, দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নেহরু কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। তিনটি চমৎকার ক্যাচের পাশাপাশি দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে স্বাগতিকদের ১৬৫ রানে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা ছিল রিচার্ডসের। সেদিন ৮ উইকেটের সহজ জয়ে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ হয়নি ক্যারিবীয় অধিনায়কের। কিন্তু ফিল্ডিং করে তিনিই জিতে নিয়েছিলেন ম্যাচ অ্যাডজুডিকেটরের মন।

জন্টি রোডস। ৩. জন্টি রোডস (দক্ষিণ আফ্রিকা)-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সর্বকালের সেরা ফিল্ডার কে? ক্রিকেট মহলে প্রশ্নটা উঠলে জন্টি রোডসের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হবে সম্ভবত। ক্রিকেট মাঠে ফিল্ডিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব তো তারই। ১৯৯৩ সালে ভারতের হিরো কাপের একটি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বলতে গেলে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে সেদিন ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৮০ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ড্যারিল কালিনানের ৭০ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান ছিল রোডসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শুরু হতেই দেখা যায় জন্টি-জাদু। পাঁচটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৩৯ রানে গুটিয়ে দিতে রোডসের ছিল বড় অবদান। ব্রায়ান লারাকে ডাইভিং ক্যাচে ফেরানোর মুহূর্ত হয়তো এখনও অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর স্মৃতিতে উজ্জ্বল। ম্যাচসেরার লড়াইয়ে রোডসের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না সেদিন।

মার্ক টেলর- স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে আলাদা পরিচয় যার। ৪. মার্ক টেলর (অস্ট্রেলিয়া)-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার ‍ওয়ার্ল্ড সিরিজ কাপের ঘটনা। সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১০১ রানে আটকে গিয়ে হারের প্রহর গুনছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু তারপরই মার্ক টেলরের চমক। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা ভুলিয়ে, ফিল্ডিংয়ে আলো ছড়িয়ে অধিনায়কই অস্ট্রেলিয়ার ১৪ রানের জয়ের নায়ক। স্লিপে দাঁড়িয়ে তিনি একে একে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন গাস লোগি, কিথ আর্থারটন, কার্ল হুপার ও জুনিয়র মারেকে। ব্যাট হাতে মাত্র ৯ রান করলেও শুধু ফিল্ডিংয়ের জন্যই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছিল টেলরের হাতে।

রোডসের পর ফিল্ডিংয়ে ম্যাচসেরা দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক তারকা ডেভিড মিলার। ৫. ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)-পাকিস্তান

ফিল্ডার হিসেবে ম্যাচসেরা হওয়ার সর্বশেষ কীর্তি মিলারের। ১ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ গড়লেও মিলার জ্বলে উঠতে পারেননি, আউট হয়ে যান মাত্র ১০ রানে। তবে ‘কিলার মিলার’ সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে। ক্যাচ নিয়েছেন চারটি, রান আউট করেছেন দুটি। শুরু থেকে আগ্রাসী বাবর আজমকে ফিরিয়েছেন রান আউট করে, শেষ দিকে পাকিস্তানকে জয়ের পথে নিয়ে যাওয়া শোয়েব মালিকের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও ধরেছেন। প্রোটিয়াদের ছয় রানের নাটকীয় জয়ে বড় অবদান রেখে মিলারই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।   

/এফআইআর/এএআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন