ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে পল পগবা। মিডফিল্ডার হয়েও গোলের পর গোল করে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। তাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে দুশ্চিন্তা এখন পগবা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের আগে প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ড জুলিয়ান ড্রাক্সলার অবশ্য খুব বেশি ভাবছেন না তাকে নিয়ে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মাঠে নামবে ম্যানইউ-পিএসজি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের প্রথম লেগের আগে ফর্মে থাকা পগবাকে নিয়েই বেশি ভাবতে হচ্ছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। জোসে মরিনহো চাকরি হারানোর পর অন্তর্বর্তী কোচ উলা গুনার সুলশালের অধীনে ম্যানইউ যেমন ফিরেছে চেনা রূপে, তেমনি নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন পগবা। সুলশালের ম্যানইউ সবশেষ ১১ ম্যাচের ১০টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। রেড ডেভিলদের এই সাফল্যময় পথে প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে পগবা করেছেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১১ গোল।
ফুলহ্যামের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে জোড়া গোলের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফরাসি মিডফিল্ডার নামতে যাচ্ছেন পিএসজির বিপক্ষে। ফরাসি ক্লাবের দুশ্চিন্তাটা তাকে ঘিরেই। যদিও দলটির উইঙ্গার ড্রাক্সলারের বিশ্বাস, পগবাকে থামানোর মতো খেলোয়াড় আছে তাদের দলে।
আত্মবিশ্বাসী ড্রাক্সলার বলেছেন, ‘ম্যানইউয়ে দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে, বিশেষ করে মাঝমাঠে, আছে পগবা ও (নেমাঞ্জা) মাতিচের মতো খেলোয়াড়। ম্যাচে তারা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে আমাদের মানও দুর্দান্ত। আমাদের খেলোয়াড়রা আরও সক্ষম।’
জার্মান ফরোয়ার্ড যোগ করলেন, ‘জার্মানি ও ফ্রান্সের ম্যাচে আমরা অনেকবারই পগবাকে আটকে দিয়েছি। দেখা যাক সে কী করে। সে সবকিছুই হয়তো করবে, তবে তাকে থামানোর খেলোয়াড় আছে আমাদের দলে।’
নেইমার ও এদিনসন কাভানি না থাকায় ফরোয়ার্ডে কাইলিয়ান এমবাপের সঙ্গে দেখা যাবে ড্রাক্সলার ও আনহেল দি মারিয়াকে। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আবার তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে ম্যানইউ থেকেই ৪৪ মিলিয়ন পাউন্ডে দি মারিয়া নাম লিখিয়েছিলেন পার্ক দে প্রিন্সেসে। গোল ডটকম