বাংলাদেশের জন্য ‘অপয়া’ হয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন। তার ওপর এখানে এলেই একের পর এক চোটে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব-মিঠুনকে হারিয়ে এমনিতেই একাদশ সাজানো নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে দলকে। ডানেডিনে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য এমন সব নেতিবাচক খবর পাশে সরিয়ে সিরিজের শেষটা জয়ে রাঙাতে মুখিয়ে মাশরাফির দল।
ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে কিউইদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ৯ বছর আগের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫ উইকেটে। মুশফিকের ৮৬ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ করেছিল ১৮৩ রান। স্বাগতিকরা শফিউল-রুবেলের বোলিং তোপে পড়লেও কিউইদের ম্যাচ জিততে তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ওয়ানডের পর এই মাঠের প্রথম টেস্টেও বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২০০৮ সালে ওই টেস্টেও ৯ উইকেটে হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। তামিম ইকবাল (৫৩ ও ৮৪) ও জুনায়েদ সিদ্দিকের (১ ও ৭৪) লড়াকু ব্যাটিংয়ে সফরকারীরা হারের ব্যবধান কমায় মাত্র।
পরিসংখ্যান বলছে, ডানেডিনে দারুণ ব্যাটিং উইকেটই থাকার কথা। গত বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের ৩৩৬ রান তাড়া করতে গিয়ে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচের আগে মাশরাফি বিন মুর্তজাও মনে করছেন পুরনো ঐতিহ্য অনুসরণ করবে এই উইকেট। তাই অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো করতে মুখিয়ে তিনি, ‘ওখানকার উইকেট সম্পর্কে আমরা যতটা জানি ব্যাটিং নির্ভর উইকেট হয়। ওখানে আমরা টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছি, ভালো ব্যাটিংও করেছি। এখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৬ রান তাড়া করে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। আমরা খুব ভালো একটা ব্যাটিং উইকেট আশা করছি। আশা করি, এখানে আমরা ভালো করতে পারব।’
জয়ের প্রত্যাশা করলেও বাংলাদেশের শঙ্কার কারণ পরিসংখ্যান। এই মাঠে স্বাগতিকরা একটি ম্যাচেও হারেনি! বিশ্বকাপের আগে আরও কিছু ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেলেও বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে এটাই বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডে। বিশ্বকাপের আগে তাই প্রস্তুতিটা আদর্শ হলো কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি জানালেন, ‘বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে হয়তো এটা শেষ ওয়ানডে। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের কিছু নেই। এখন দলে যারা আছে সবাই অভিজ্ঞ। এখানে আমরা হয়তো খুব ভালো করতে পারিনি। কালকের ম্যাচটা জিতলে কিছুটা হয়তো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবো।’