X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘এশিয়াডে বাংলাদেশের একজন জাজ দেখে অনেকেই অবাক’

তানজীম আহমেদ
০৯ মার্চ ২০১৯, ২১:০৭আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৯, ২১:১৭

এশিয়ান গেমসে দায়িত্ব পালনের সময় লায়লা নূর লায়লা নূর বেগমের সাঁতারে হাতেখড়ি শৈশবে। ছেলেবেলা থেকে সাঁতারই তার জীবন, ধ্যান-জ্ঞান। অজস্র পুরস্কারে সমৃদ্ধ তার ক্যারিয়ার। ২০০৪ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও পেয়েছেন। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে জাজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দক্ষতার সঙ্গে।

এশিয়াডের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লায়লা নূর বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘কোনও আন্তর্জাতিক গেমস বা ইভেন্টের আগে জাজ বা রেফারিদের সঙ্গে আয়োজকরা সভায় বসেন। এশিয়াডের আগে সভায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়েছে আমাকে। বাংলাদেশি জাজ দেখে কেউ কেউ ভ্রু কুঁচকেছে, অনেকে অবাকও হয়েছে। আমাকে নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় ছিল। তবে সব সংশয় উড়িয়ে আমি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেছি।’

সাঁতারে তার এমন কিছু কীর্তি আছে যা আজ পর্যন্ত কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯৮৩ সালে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে ১২টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবগুলোতে প্রথম হয়েছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ টানা চার বছর জাতীয় সাঁতারে দ্রুততম সাঁতারুর নামও লায়লা নূর। নিজের কীর্তি নিয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত, ‘ভাবতেই ভালো লাগে এখনও এক প্রতিযোগিতায় আমার ১২টি সোনা জয়ের কীর্তি কেউ স্পর্শ করতে পারেনি।’

আজকের পর্যায়ে আসতে ভীষণ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে লায়লা নূরকে। আশির দশকে সুইমিং কস্টিউম পরে সাঁতরানোর সময় অনেক কটু কথা শুনতে হতো তাকে। তবে বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সব সময়। সে সব দিনের কথা আজও তিনি ভুলতে পারেননি, ‘প্রতিবেশীরা অনেকে কথা বলতো, বাবা-মায়ের কান ভারি করার চেষ্টা করতো। কিন্তু আমার পরিবার থেকে কোনও বাধা আসেনি। বাবা-মা উদার ছিলেন বলে এত দূর আসতে পেরেছি। তখন পত্রিকায় আমার ছবি ছাপা হলে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যেতো।’

খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হলেও সুইমিং পুল থেকে দূরে থাকতে পারেননি, জড়িয়ে পড়েন কোচিংয়ে। ভারতের পাতিয়ালা এবং জার্মানির লিপজিগে নিয়েছেন সাঁতারের প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন পড়াশুনাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাইব্রেরি সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর পাশের পর বিপিএড আর এমপিএড ডিগ্রিও নিয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বে থাকা লায়লা নূর বর্তমানে এশিয়ান সুইমিং ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য। দক্ষিণ এশিয়ায় সাফল্য পেলেও এশীয় পর্যায়ে সাঁতারে সাফল্য নেই বাংলাদেশের। সেজন্য তার মনে ভীষণ আক্ষেপ, ‘সাঁতারে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। এসএ গেমসে  স্বর্ণপদক পায় বাংলাদেশ, তবে এশিয়ান লেভেলে আরেকটু লড়াই করতে পারলে ভালো হতো। আমি একটা সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করতে চাই। জানি না ইচ্ছেটা পূরণ হবে কিনা।’

/টিএ/এএআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন