বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যতম ফেভারিট বাংলাদেশ। কিন্তু গ্রুপের দুটি ম্যাচে ফেভারিটদের মতো খেলতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে ২-০ ও পরের ম্যাচে ২-১ গোলে জয় আসলেও ব্যবধানটা হতে পারতো আরও বড়। গ্রুপ সেরা হয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সেমিফাইনালে আজ মৌসুমী-তহুরাদের সামনে মঙ্গোলিয়া। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় হবে ম্যাচটি। বিটিভি, আরটিভি ও নাগরিক টিভি ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে।
সেমির লড়াইয়ে ঘুরে-ফিরে একটি কথাই সামনে চলে আসছে; নিজেদের পারফরম্যান্স দেখাতে পারবে তো বাংলাদেশ? গোলের সুযোগ পেয়ে প্রতিপক্ষকে ভাসাতে পারবে গোল বন্যায়? এমন প্রশ্ন ওঠার কারণ যেখানে লাওস টানা তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। সেখানে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কোরিং। অন্তত আজ ফিনিশিং ভালো করতে হবে। অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারালে চলবে না। যদিও বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড একাদশে নেই আজ। আগের দুই ম্যাচে গোল করা কৃষ্ণা রানী সরকার ও সিরাত জাহান স্বপ্না লিগামেন্টে আঘাত পাওয়ায় বিশ্রামে রয়েছেন। তাদের জায়গায় মার্জিয়া ও সাজেদা কিংবা তহুরাই ভরসা।
যদিও বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন দুই নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড না থাকায় ততটা চিন্তিত নন, ‘আগের ম্যাচে কিরগিজস্তান শরীর নির্ভর খেলা খেলেছে। রাফ ট্যাকল করেছে। এ কারণেই স্বপ্না ও কৃষ্ণা বাজেভাবে চোট পেয়েছে, দু’জনের লিগামেন্টে আঘাত লেগেছে। ফরোয়ার্ড জোনে মার্জিয়া, সাজেদা ও তহুরা ভালো খেলছে। তাদের নামার সম্ভাবনা আছে।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘শারীরিক দিক দিয়ে কিরগিজদের চেয়ে মঙ্গোলিয়া খানিকটা এগিয়ে আছে। আমি মনে করি কিরগিজস্তানের মতো মঙ্গোলিয়াও শারীরিক সুবিধা নিয়ে খেলার চেষ্টা করবে। তবে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।’
অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবেন, এমনটি প্রত্যাশা তার, ‘সেমিফাইনালে লক্ষ্য অবশ্যই জয়। সেমিফাইনালে জিততে পারলে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য পূরণ হবে। মঙ্গোলিয়া আমাদের জন্য ভিন্ন প্রতিপক্ষ। ওদের সঙ্গে আগে না খেলার ফলে ওদের সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই। স্যাররা (কোচরা) মঙ্গোলিয়ার গ্রুপ পর্বের দু’টি খেলা মাঠে দেখেছেন। তারাই আমাদের মঙ্গোলিয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। আর কৃষ্ণা-স্বপ্নার জায়গায় যারা আসবে তারা জায়গা পূরণ করতে পারবে। আমাদের দলের সবার মান ১৯ কিংবা ২০।’
মাঠে দর্শকের উপস্থিতি বাড়তি অনুপ্রেরণার বলে মনে করেন লাল-সবুজ দলের অধিনায়ক, ‘দর্শক মাঠে থাকাটা অনুপ্রেরণার। ঢাকার মাঠে এত দর্শক সাধারণত দেখা যায় না। এর আগে অবশ্য অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে দর্শক পেয়েছিলাম। দর্শক আমাদের জন্য কোন চাপ নয়। তারা আমাদের উৎসাহ জোগায়।’