নতুন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের অধীনেও ভাগ্য বদলাচ্ছে না শেখ জামালের। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ফিরতি পর্বে এগিয়ে থেকেও মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে হলুদ জার্সিধারীরা। বৃহস্পতিবার দিনের অন্য খেলায় বিজেএমসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং।
আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হারতে হয়েছিল শেখ জামালকে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নেমেছিল গতবারের রানার্স-আপরা। সেই মিশনে এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি তাদের। ১৮তম মিনিটে শেখ জামালকে লিড এনে দেন সলোমন কিং। গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড হেডে করেন লক্ষ্যভেদ।
গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধা বেশ কয়েকবার কাঁপিয়ে দেয় শেখ জামালের রক্ষণ। ৩০ মিনিটে জাপানের মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতোর ফ্রি-কিক প্রতিহত করেন গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুম। তবে মিনিট চারেক পর আর শেষ রক্ষা হয়নি। ৩৪ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধাকে সমতায় ফেরান ওই কাতোই। ডিফেন্ডার হাবিবুর রহমান নোলকের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জাপানিজ মিডফিল্ডার বাঁ পায়ের জোরালো ভলিতে বল জড়িয়ে দেন জালে।
১-১ সমতায় দুই দল বিরতিতে যায়। বিরতির পর শেখ জামাল আক্রমণ চালাতে থাকে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণে। তবে সলোমন কিংয়ের দুর্ভাগ্য! দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তার নেওয়া ফ্রি-কিক বার উঁচিয়ে না গেলে শেখ জামাল পেয়ে যেতে পারতো দ্বিতীয় গোল।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলায় মুক্তিযোদ্ধা এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচের। তিন-তিনটি গোলের সুযোগ পেয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি লাল জার্সিধারী। তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান শেখ জামাল গোলরক্ষক মাসুম। ৬২ ও ৭৬ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার আইভরি কোস্ট ফরোয়ার্ড বালো ফামুসার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন তিনি।
যাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ও মুক্তিযোদ্ধা। ১৪ ম্যাচে ষষ্ঠ ড্র করে শেখ জামাল ১৫ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে। সমান ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা চতুর্থ ড্রতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ঠিক তাদের ওপরে।
ম্যাচ শেষে শেখ জামাল কোচ মানিক বলেছেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখা যায়নি। ড্রতে আমি খুশি নই, তবে প্রথম পর্বে এই দলটির কাছে আমরা হেরেছিলাম। এখন ১ পয়েন্ট পেয়েছি। এটা সান্ত্বনা বলতে পারেন।’
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিং পেয়েছে টানা তৃতীয় জয়। তারা ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেএমসিকে। লক্ষ্যভেদ করেছেন উজবেকিস্তানের ওতাবেক জকিরভ, কলম্বিয়ার দেইনার আন্দ্রেস কর্দোবা ও ব্রাজিলের আলেসান্দ্রো পাদোভানি সেলিন।