বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে আজ। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো। তাতে লজ্জার হার দিয়ে শুরু করেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেছে ৩ উইকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য দাপুটে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের তারা হারিয়েছে ৮৭ রানে।
ব্রিস্টলে টস জিতে পাকিস্তানের শুরুটা ছিলো দেখে শুনে। উমাম উল হক ও ফখর জামানের ব্যাটে ভালো সূচনা পেলেও লম্বা হয়নি তাদের ইনিংস। ১০০ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে ভীষণ চাপে ফেলে দেয় আফগানানিস্তান। তখনই লড়াকু এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন বাবর আজম। তার শতক হাঁকানো ইনিংস ও মিডল অর্ডারে শোয়েব মালিকের ৪৪ রানে ভর করেই সমৃদ্ধ স্কোর বোর্ড পায় পাকিস্তান। শোয়েব ৪৪ রানে ফিরে গেছেন। তবে বাবর আজম ১১২ রানে ফিরে গেলে আপাত দৃষ্টিতে লড়াই এখানেই শেষ হয় পাকিস্তানের। ৪৭.৫ ওভারে তারা অলআউট হয় ২৬২ রানে। অফগানদের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী, দুটি নেন রশিদ খান ও দাওলাত জাদরান।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা আফগানিস্তান জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে টপ অর্ডারের মিলিত ভূমিকায়। ওপেনার শাহজাদ রিটায়ার্ড হার্ট হলেও আরেক বিধ্বংসী ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ছিলেন আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। ২৮ বলে বিদায় নেওয়ার আগে করেন ৪৯ রান। এরপর মূলত হাশমতউল্লাহ শহীদির অপরাজিত ৭৪ রানেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে তারা। শেষ দিকে পাকিস্তান বেশ কিছু উইকেট তুলে চাপ সৃষ্টি করলেও শহীদির ব্যাটে জয়ের পথে থেকেছে আফগানিস্তান। ৭ উইকেট হারিয়ে তারা জয় নিশ্চিত করে ৪৯.৪ ওভারে।
অপর ম্যাচে টস হেরেও ব্যাটসম্যানেদের দারুণ পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটে ৩৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার হাশিম আমলা ৬৫ ও পরে অধিনায়ক দু প্লেসি ৬৯ বলে ৮৮ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়ে বড় স্কোরের মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন। শেষ দিকে ক্রিস মরিসের ১৩ বলের ২৬ রানের মিনি ঝড় বড় সংগ্রহ পেতে ভূমিকা রেখেছে।
জবাবে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন শুধু অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৮৭ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দিয়েছেন করুনারত্নে। তার বিদায়ের পরই ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুজ ৬৪ রান করে লড়াই করার চেষ্টা করলেও তার বিদায়ের পর সেভাবে আর কেউ প্রতিরোধ দিতে পারেননি। ৪২.৩ ওভারে ২৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। প্রোটিয়াদের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার আন্দিলে ফেহলুকোয়ায়ো। দুটি নেন এনগিডি।