প্রতিটি বিশ্বকাপেই দেখা মিলেছে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের। ধারাবাহিকতায় দ্যুতি ছড়িয়ে প্রতিবার কেউ না কেউ হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। এবারের বিশ্বকাপেও দশটি দল থেকে ১৫০ জনের কেউ না কেউ স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠবেন। তার আগে দেখে নেওয়া যাক তেমন সম্ভাবনায় কারা এগিয়ে। সাবেক তারকাদের মুখ থেকে শোনা যাক সেই নামগুলো। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান এই তারকাদের বেশির ভাগের মুখেই শোনা গেছে স্বদেশি নাম!
অ্যালান বোর্ডার
‘আমার মনে হয় এবার সেটা টপ অর্ডার থেকেই কেউ হবে। হতে পারে অ্যারন ফিঞ্চ, স্মিথ অথবা ওয়ার্নার। অবশ্য এটা শুনে অনেকের অবাকও লাগতে পারে যে এটা স্মিথ-ওয়ার্নারের কেউ একজন হতে পারে। ওরা কিন্তু অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার খড়গে বলতেই হবে ওরা দুর্ভাগা। তবে টুর্নামেন্টে ওদের কেউ যদি ঘুরে দাঁড়ায় এটা অসম্ভব কিছু না। আমিও তেমন কামনাই করছি।’
অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস
‘আমারও মনে হয় এটা ব্যাটসম্যানই হবে। আমার মনে হচ্ছে ওখানে ব্যাটিং বান্ধব পরিবেশ মিলবে। কারণ মাঠগুলো ছোট, দুই নতুন বল, ব্যাটিংয়ের প্রযুক্তিও সহায়ক। তাই মনে হচ্ছে উইকেট খুবই ভালো হবে, মনে করছি এটা হয়তো ফিঞ্চই হবে।অথবা এমন কেউ যে টপ অর্ডারে প্রচুর রান পায়। যাতে বড় স্কোর হয়ে থাকে।
মার্ক ওয়াহ
‘আমার মনে হয় ইংল্যান্ডের জস বাটলার। ওর স্ট্রাইক রেট কিন্তু অবিশ্বাস্য।’
ব্রেট লি
‘এখন যে খুবই ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকবে সেই প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হবে। বর্তমানে আমার মনে হয় তা ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএল কিন্তু বেশি রান আছে তার। ওকে সেখানে ভালো করে দেখার সুযোগ হয়েছে। তাকে প্রতিটি ম্যাচেই মনে হয়েছে অসাধারণ। ওকে দেখে মনে হয়েছে খুবই ক্ষুধার্ত সে। চোখেও তা প্রকাশ পাচ্ছে।’
এক নজরে বিশ্বকাপের প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট জয়ীরা
১৯৯২: মার্টিন ক্রো
১৯৯৬: সনাথ জয়াসুরিয়া
১৯৯৯: ল্যান্স ক্লুজনার
২০০৩: শচীন টেন্ডুলকার
২০০৭: গ্লেন ম্যাকগ্রা
২০১১: যুবরাজ সিং
২০১৫: মিচেল স্টার্ক