আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানের ৬ হাজার রানের ঘোষণা আসতেই গর্জন উঠলো গ্যালারিতে। এই মাইলফলক থেকে ২৩ রান দূরে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সোমবার টন্টনের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওশানে থমাসের বলে সিঙ্গেল নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজারি ক্লাবের সদস্য হলেন তিনি।
চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট পূরণ করে ‘ডাবল’ রেকর্ডের মালিক হয়েছেন তিনি। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও একটি মাইলফলক ছুঁলেন সাকিব। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার রান স্পর্শ করেছেন তিনি। সাকিবের আগে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তিটি ছিল তামিমের।
২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রঙিন পোশাকে অভিষেক সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে আছেন। ধীরে ধীরে নিজেকে বিশ্বমানের ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ওয়ানডে অভিষেকের পর মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে সাকিব খেলেছেন ১৮টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সুযোগ পান তিনি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের পর ২০১১ ও ২০১৫ সালের আসরেও খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।
টানা তিনটি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তিনি। সেখানে সাকিবের পারফরম্যান্স আরও দুর্দান্ত। আগের তিনটি বিশ্বকাপের ২১ ম্যাচে যেখানে তার ছিল পাঁচ হাফসেঞ্চুরি, সেখানে এবারের খেলা চার ম্যাচেই অন্তত ফিফটি পেয়েছেন তিনি।