বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন জনি বেয়ারস্টো। তার সঙ্গে জেসন রয়ের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটিতে ইংল্যান্ডের রান পাহাড়ের আভাস থাকলেও হয়নি তা। নিউজিল্যান্ড বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানো পারফরম্যান্সে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংলিশরা ৮ উইকেটে করেছে ৩০৫ রান।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। চেস্টার-লি-স্ট্রিটের ম্যাচ যে জিতবে, সেই দল চলে যাবে সেমিফাইনালে। গুরুত্বপূর্ণ এই খেলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরু হয় দুর্দান্ত। রয়-বেয়ারস্টো আরেকবার কঠিন পরীক্ষা নেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটি থেকেই ইংল্যান্ড পায় ১২৩ রান।
কিন্তু হাফসেঞ্চুরি করে রয় আউট হলে প্রত্যাশামতো বাড়েনি ইংলিশদের রান। এই ওপেনার হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে খেলে যান ৬০ রানের ইনিংস। রয় আউট হলেও বেয়ারস্টো তুলে নেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১১১ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান এবার করেছেন ১০৬ রান। ৯৯ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসটির পরও ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছে ৩০৫ রানে।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর কিউই বোলাররা ঘুরে দাঁড়ায়। ট্রেন্ট বোল্ট ও জিমি নিশামের তোপে সুবিধা করতে পারেননি পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। জো রুট ফেরেন ২৪ রানে। জস বাটলারও (১১) যেতে পারেননি বেশিদূর। চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেন স্টোকস আউট হন ১১ রানে। অধিনায়ক এউইন মরগান চেষ্টা করলেও সেভাবে রান তুলতে পারেননি, ৪০ বলে তিনি করেন ৪২ রান।
একটা সময় তো ইংল্যান্ডের স্কোর ৩০০ হবে কিনা, তা নিয়েই তৈরি হয় সংশয়। শেষ পর্যন্ত হয়েছে আদিল রশিদ (১৬) ও লিয়াম প্লাঙ্কেটের (১৫*) ব্যাটে।
নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার নিশাম। এই পেসার ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। তার মতো ২টি করে উইকেট শিকার বোল্ট ও ম্যাট হেনরির।